বিএসইসির লোগো

আবেদন করলে সব বিনিয়োগকারীই প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) শেয়ার পাবেন। তবে তাদের পুঁজিবাজারে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আইপিও প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও ন্যূনতম বিনিয়োগ বিষয়ক গঠিত কমিটির প্রথম সভায় এমন প্রস্তাব উঠে এসেছে।

বিএসইসির পরিচালক মনসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ডিএসই(৩), সিএসই(৩) ও সিডিবিএলের(২) প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রস্তাব বলা হয়, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহে আসা কোনো কোম্পানির শেয়ার পেতে আবেদন করতে পুঁজিবাজারে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে।

এছাড়াও সাবস্ক্রিপশনের পর লেনদেন শুরু হতে ২৫ দিনে নামিয়ে আনার সুপারিশ করা হয়। যা বর্তমানে ৪৫ দিন সময় লাগে। এটা পরিবর্তন করতে হবে।

সভায় সব আবেদনকারীর জন্য শেয়ার বরাদ্দে লটারি প্রথা বাতিলের বিষয়েও প্রস্তাব দেয়ার পক্ষে মতামত দেওয়া হয়। তবে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি নির্ধারণ করার প্রস্তাব এসেছে।

মোট আবেদনকারী অনুযায়ী শেয়ার বরাদ্দ দিয়ে বাকি টাকা বিও অ্যাকাউন্টে ফেরত দেয়া হবে। যেমন- কোনো কোম্পানি এক কোটি শেয়ার বাজারে ছাড়ল, আবেদন করল ৩০ লাখ। এ ক্ষেত্রে এক কোটি শেয়ার ৩০ লাখ বিনিয়োগকারীর মধ্যে সম বণ্টন করা হবে। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী যদি পাঁচ হাজার শেয়ারের জন্য আবেদন করেন তাহলে তিনি যে সংখ্যক শেয়ার পাবেন সে পরিমাণ টাকা ব্রোকার হাউজ কেটে বাকিটা ফেরত দেবে।

এ বিষয়ে মনসুর রহমান বলেন, ‘আইপিও প্রক্রিয়া আরও সহজ করার বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের সুপারিশে লট ব্যবস্থা বাতিল করে সবার জন্য শেয়ার বরাদ্দের ব্যবস্থা থাকছে।’

এ পদ্ধতি চালু হলে একটি কোম্পানির আইপিওতে যতজন আবেদন করবেন, তাদের সবার মাঝে শেয়ার সমানভাবে বণ্টন করা হবে।

এছাড়াও সভায় ইলেক্ট্রনিক সাবসক্রিপশন সিস্টেম হালনাগাদ, ডিএসই, সিএসই ও সিডিবিএলের প্রযুক্তি উন্নয়নের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

এমআই/এফআর