বাংলাদেশসহ ৩৮টি দেশের ৫৫২টি কোম্পানির অংশগ্রহণে সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২১ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে বৈশ্বিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের অধিকতর অংশগ্রহণ ও বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) যৌথভাবে আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত এ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন।

রোববার (১৭ অক্টোবর) ডিসিসিআইর পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বাণিজ্য সম্মেলনের সার্বিক দিক তুলে ধরে বলেন, অবকাঠমো (ফিজিক্যাল, লজিস্টিক অ্যান্ড এনার্জি), আইটি ও ফিনটেক, লেদারগুডস, ফার্মাসিউটিক্যাল, অটোমোটিভ অ্যান্ড লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, প্লাস্টিক পণ্য, অ্যাগ্রো অ্যান্ড ফুড প্রসেসিং, জুট অ্যান্ড টেক্সটাইল, এফএমসিজি অ্যান্ড রিটেইল বিজনেস প্রভৃতি খাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও করণীয় সম্পর্কে বাণিজ্য সম্মেলনে আলোকপাত করা হবে। 

তিনি বলেন, এ বাণিজ্য সম্মেলন উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৩৮টি দেশের সর্বমোট ৫৫২টি কোম্পানি সপ্তাহব্যাপী ৪৫০টি বিটুবিতে অংশ নেবে। এর মাধ্যমে নতুন বিনিয়োগ ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

বাংলাদেশ ও ইউরোপের অর্থনীতি : নতুন নীতি কাঠামো, এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তোরণ ও প্রস্তুতি, মধ্যপ্রাচ্য ও বাংলাদেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সহযোগিতা, এশিয়া-প্যাসিফিক ও বাংলাদেশ : অর্থনৈতিক সম্ভাবনা, বাংলাদেশ ও আফ্রিকার মধ্যকার বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সহযোগিতা : নতুন দিগন্তের সম্ভাবনা  এবং  বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নে সহায়ক ঋণ প্রক্রিয়া শীর্ষক মোট ছয়টি ওয়েবিনারের আয়োজন করা হবে বলেও জানান ঢাকা চেম্বারের সভাপতি। এসব ওয়েবিনারে সংশ্লিষ্ট খাতের দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেবেন। 

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, ভার্চুয়াল বাণিজ্য সম্মেলনে বিদেশি বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের কাছে কোভিড মহামারিকালীন ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বাংলাদেশের প্রস্তুতির নানা বিষয় তুলে ধরা হবে।          

বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাণিজ্য সম্মেলনটি সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বয়ের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ, যার মাধ্যমে পাঁচটি মহাদেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক উদ্যোক্তাদের বিটুবি সেশনে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। এ সম্মেলনে বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের রফতানি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরা হবে, যার মাধ্যমে আরও বেশি হারে বিনিয়োগ আকর্ষণ সম্ভব হবে।
 
আরএম/আরএইচ