বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান

পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্পে একে অপরের পরিপূরক হওয়ার জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা জরুরি বলে মনে করেন পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেলের ১৩তম সংস্করণে তিনি এ কথা বলেন।

সম্মেলনে টেক্সটাইল ও পোশাক খাতে আরও পারস্পরিক সুবিধা লাভের জন্য এশিয়ার মধ্যে আঞ্চলিক ভ্যালু চেইন ও সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাষ্ট্রি (সিআইআই) কর্তৃক আয়োজিত ভার্চুয়াল সম্মেলনে ভারতের বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোস, সিআইআই ন্যাশনাল কমিটি অন টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেলের চেয়ারম্যান দিলীপ গৌর ও কো-চেয়ারম্যান কুলিন লালভাই যুক্ত ছিলেন।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আমরা প্রতিবেশী দেশগুলো যদি একে অপরের পরিপূরক হতে পারি, তাহলে আমাদের একসঙ্গে বেড়ে উঠার বিশাল সুযোগ রয়েছে। উচ্চ প্রবৃদ্ধির রূপকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ টেক্সটাইল উপাদানকে বৈচিত্রময় করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিশেষত কটন থেকে নন-কটনে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। যার লক্ষ্য হচ্ছে পরিমাণ থেকে গুণমান ও ভলিউম থেকে ভ্যালুতে ঘুরে দাঁড়ানো। 

তিনি বলেন, যেহেতু আমরা কটন থেকে নন-কটনে যাওয়ার মাধ্যমে পণ্যে বৈচিত্র্য আনার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। তাই বাংলাদেশ ভারতীয় এমএমএফ টেক্সটাইলগুলোর জন্য ভালো বাজার হতে পারে। আমরা যত বেশি পোশাক রফতানিতে উন্নতি করতে পারব, ততই ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সুবিধা তৈরি হবে। বিশেষ করে টেক্সটাইল, ডাইস, কেমিক্যাল ও যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে। 

তিনি ভারত ও এশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকে বিনিয়োগকারীদের এবং ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের নন-কটন টেক্সটাইল খাতে বিনিয়োগের সুযোগগুলো অনুসন্ধান করার জন্য আমন্ত্রণ জানান। 

ফারুক হাসান টেকসই এবং অন্তভূক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য এই অঞ্চলের মধ্যে জ্ঞান , দক্ষতা ও প্রযুক্তির বিনিময়ের উপরও জোর দেন। তিনি বলেন, আমরা ২০০০ সালে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) নামে একটি ফ্যাশন ডিজাইনিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা একটি উদ্ভাবন কেন্দ্রও স্থাপন করতে যাচ্ছি। এই প্রতিষ্ঠানগুলো এবং ভারতের ফ্যাশন একাডেমিগুলোর মধ্যে সহযোগিতা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হতে পারে। যেখানে আমরা একে অপরের পরিপূরক হতে পারি।

আরএম/ওএফ