মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল কেনার প্রস্তাব স্থগিত
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় দেশটি থেকে এক লাখ টন চাল আমদানির প্রস্তাব স্থগিত করেছে সরকার। বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ প্রস্তাবের বিষয়টি উঠলে মিয়ানমারে সরকার পরিবর্তনের কারণে তা আর অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি দেশটিতে সেনা ক্যু হওয়ার পর সেটি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক কোনো সম্পর্ক নেই তারপরও বিশেষ কিছু সময় পেঁয়াজ, চাল আমদানি করা হয়।’
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী বলেন, ‘সে অনুযায়ী, মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে এক লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু, সম্প্রতি দেশটির ক্ষমতার পরিবর্তন হওয়ায় আপাতত আমরা আমদানি স্থগিত করেছি।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। তাদের এখন চাল রপ্তানির আগ্রহ আছে কি না- বা আমরাও এ পরিস্থিতিতে কীভাবে আমদানি করব, এসব বিষয় বিবেচনা করে চাল আমদানি নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে।’
বিজ্ঞাপন
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘জরুরিভাবে মিয়ানমার থেকে আমাদের অনেক সময় আমদানি করতে হয়। এর আগেও আমরা মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেছি।’
অর্থমন্ত্রী জানান, বুধবারের বৈঠকে অর্থনৈতিক কমিটির অনুমোদনের জন্য চারটি এবং ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ৯টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ক্রয়ের প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তিনটি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি, বিদ্যুৎ বিভাগের একটি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি প্রস্তাবনা ছিল। কমিটির আটটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল কেনার প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
অনুমোদিত আটটি প্রস্তাব বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে সাত হাজার ২৬০ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৪২২ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার (জিওবি) অর্থায়ন করবে এক হাজার ৪৫৪ কোটি তিন লাখ ৪৯ হাজার ৯২২ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক ও চায়না এক্সিম ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে আসবে পাঁচ হাজার ৮০৬ কোটি ৫৬ লাখ ৭৮ হাজার ৫০০ টাকা।
এনএম/এফআর