ইলেকট্রনিকস সাবস্ক্রিপশন পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে আবেদন শুরু হয়েছে। শেষ হবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এর ফলে দীর্ঘ ১২ বছর পর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হচ্ছে ব্যাংক খাতের একটি প্রতিষ্ঠান। এতে যোগ্য ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার পেতে আইপিওতে আবেদন করতে পারেন।

ডিএসইর তথ্য মতে, ব্যাংকটি ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ১২ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে ১২০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এই অর্থ দিয়ে সরকারি সিকিউরিটিজ কেনা, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ও আইপিও ব্যয় বাবদ খরচ করবে।

দুই প্রকার বিনিয়োগকারীর মধ্যে এলিজেবল অর্থাৎ যোগ্য বিনিয়োগকারীকে চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বর্তমান বাজারদরে অন্তত এক কোটি টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে।

যোগ্য বিনিয়োগকারীদের ৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ২টার মধ্যে তাদের সাবস্ক্রিপশনের পুরো অর্থ ও সাবস্ক্রিপশন ফি হিসেবে তিন হাজার টাকা জমা দিতে হবে। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৯ জানুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন উত্তোলনের বিষয়ে গত বছরের ১৮ নভেম্বরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এই ব্যাংককে অনুমোদন দেয়।

সর্বশেষ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ১৩ টাকা ৮৬ পয়সা। গত পাঁচ বছরের ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৫৫ পয়সা।

সর্বশেষ হিসেবে, গত বছর শেষে ব্যাংকটির আমানত দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা। ঋণের পরিমাণ সাত হাজার ৪৬২ কোটি টাকা। গত বছরের মুনাফা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আগের বছর প্রকৃত মুনাফা ছিল ১১৫ কোটি টাকা।

২০১৩ সালে ২০ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হওয়া ব্যাংকটি ওই বছরের ২ এপ্রিল কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ব্যাংকটির ৮৩টি শাখা, বিআরটিএ, ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিসের বুথসহ ৪০০টি উপশাখা ও ৫৮৯টি এজেন্ট রয়েছে।

গত মাসের শুরুতে ব্যাংকটি আইপিওর মাধ্যমে শেয়ার ইস্যু ও সংক্ষিপ্ত প্রসপেক্টাস প্রকাশের জন্য কমিশনের কাছ থেকে সম্মতিপত্র পায়। ব্যাংকটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড। ব্যাংকটির নিরীক্ষক হিসেবে রয়েছে কে এম হাসান অ্যান্ড কোম্পানি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস।

এমআই/ওএফ