পরপর দুই কার্যদিবস পতনের পর সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিনের লেনদেন শুরু হয়। তবে এ উত্থান ধরে রাখতে পারেনি পুঁজিবাজার। ফলে মঙ্গলবার বেলার সঙ্গে সঙ্গে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দামের পাশাপাশি কমেছে সূচকও।

বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে, বাজারে আরও দরপতন হবে। এ কারণে শেয়ার বিক্রির হিড়িক পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই বিক্রেতার তুলনায় ক্রেতার অর্ডারও বেশি আসে। তার প্রভাব পড়েছে লেনদেনও। সেই প্রভাবে লেনদেনও দেড় হাজার কোটি টাকার কোটা থেকে হাজার কোটি টাকার নিচে চলে এসেছে। এর ফলে গত বুধবার উত্থানের পর সর্বশেষ তিন কার্যদিবস দরপতন হল।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ব্যাংক-বিমা এবং আর্থিক খাতসহ বেশির ভাগ খাতের শেয়ারের দাম বৃদ্ধির মধ্যদিয়ে দিনের লেনদেন শুরু হয়। তবে এই ধারা অব্যাহত ছিল মাত্র আধা ঘণ্টা। এরপর শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রির চাহিদা বেশি থাকায় দিনের বাকি সময়ে লেনদেন হয়েছে সূচকের নিন্মমুখী প্রবণতায়।

তবে এদিন বড় মূলধনী কোম্পানি গ্রামীণ ফোন, ইউনাইটেড পাওয়ার, সাইফ পাওয়ার এবং সামিট পাওয়ারসহ বেশি কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় বড় দরপতন থেকে রক্ষা পেয়েছে পুঁজিবাজার।  

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ডিএসইতে ৩৭৬টি প্রতিষ্ঠানের ১৮ কোটি ৬৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫২৯৬টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৫৪টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টির দাম।

তাতে ডিএসইর প্রধান সূচক ৮ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৯১৭ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে কমেছে ৩ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ৯ দশমিক ২৪ পয়েন্ট।

ডিএসইতে এদিন লেনদেন হয়েছে ৯০৮ কোটি ৮২ লাখ ৪৮ হাজার টাকার শেয়ার। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪১০ কোটি ৩৯ লাখ ৫৪ হাজার টাকার শেয়ার যা আগের দিনের চেয়ে কমেছে প্রায় অর্ধেক। শুধু তাই নয় ডিএসইতে আজকে এক মাস ১৯ দিন বা ৩৬ কার্যদিবসের মধ্যে সবচেয়ে কম লেনদেন হয়েছে।

এদিন সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার। এরপর ছিল ওরিয়ন ফার্মা, ফরচুন সুজ, বিএসসি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, আমরা টেকনোলোজি, সাইফ পাওয়ার, কাট্টালি টেক্সটাইল, বিবিএস এবং মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

একই দিন অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বেড়ে ২০ হাজার ২৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সিএসইতে ৩০৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৩২, অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির দাম।

এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ৪১৩ টাকার শেয়ার। এর আগের লেনদেন হয়েছিল ৩৭ কোটি ৫৬ লাখ ৩৪ হাজার ১৬৬ টাকার শেয়ার।

এমআই/আইএসএইচ