মাল্টি কারেন্সি ডেবিট কার্ড চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড। যার সাহায্যে আন্তর্জাতিক লেনদেনসহ আন্তর্জাতিক ই-কমার্স সাইট থেকে কেনাকাটা করা যাবে। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সুবিধার কথা জানায়।

মাল্টি কারেন্সি ডেবিট কার্ড চালু করা সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংকের রিটেইল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান মো. মাহীয়ুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘যারা বিদেশে ভ্রমণ করেন তাদের ব্যাংকিং চাহিদা পূরণের পূর্ণাঙ্গ সমাধান আমাদের মাল্টি কারেন্সি ডেবিট কার্ড। এখন বিদেশে ভ্রমণের সময় নগদ অর্থ সঙ্গে না থাকলেও সমস্যা নেই, কারণ আমাদের এই কার্ডের মাধ্যমে বিদেশে এটিএম ব্যবহার, পস (POS) এবং অনলাইনে শপিং করা যাবে। এতে মাল্টি কারেন্সি লেনদেনের সুবিধা, ডিসকাউন্ট, রিওয়ার্ড পয়েন্ট এবং অন্য দেশে ভিসার জন্য সব সুবিধা থাকছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, এখন এই কার্ড চালু করার সঠিক সময়। কেননা দেশ এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনধারা ও জীবনযাত্রার মান পরিবর্তিত হচ্ছে। এই কার্ড চালু করতে প্রয়োজনীয় সমর্থন ও অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে ধন্যবাদ জানাই। গ্রাহককেন্দ্রিক ব্যাংক হিসাবে ব্র্যাক ব্যাংক গ্রাহকদের ক্রমপরিবর্তনশীল চাহিদা পূরণে নতুন নতুন সেবা নিয়ে আসার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।’

ব্র্যাক ব্যাংক জানায়, সাধারণ ডেবিট কার্ডের মতো এই কার্ডটি বাংলাদেশের যে-কোনো এটিএম বুথ, কেনাকাটা, ডাইনিং, পস এবং ই-কমার্স লেনদেনের জন্যও ব্যবহার করা যাবে। শুধু তাই নয়, এই কার্ডের মাধ্যমে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাবেন। পূর্বের কোনো কেনাকাটার ক্ষেত্রে এই রিওয়ার্ড পয়েন্ট কাজে লাগানো যাবে। কার্ডটি বিদেশে পসে ব্যবহার করা যাবে এবং বিদেশে ভ্রমণকালে সেই দেশের মুদ্রায় লেনদেন করা যাবে। 

সুবিধা পাওয়ার জন্য একজন গ্রাহককে ব্যাংকে সঞ্চয় বা কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে বা পরিচালনা করতে হবে এবং ট্রাভেল কোটা বা মেডিকেল কোটা ব্যবহার করে নিকটস্থ ব্র্যাক ব্যাংক শাখা থেকে তাদের পাসপোর্ট এনডোর্স করিয়ে নিতে হবে। 

তবে বর্তমানে যে সব গ্রাহকরা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করছেন, তারা এই মাল্টি কারেন্সি সুবিধা পেতে কার্ড প্রতিস্থাপন করিয়ে নিতে হবে। একজন গ্রাহক তার বার্ষিক ভ্রমণ কোটার এনটাইটেলমেন্টের বিপরীতে বছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ডলার খরচ করতে পারবেন। 

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বিদেশ ভ্রমণের সময় হোটেল, রেস্তোরাঁ, শপিংয়ে এই ভিসা ডেবিট কার্ডটি ব্যবহার করতে পারবেন। সেই সঙ্গে বিদেশি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নেওয়া, বিদেশি সফটওয়্যার কেনা কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন প্রচারের কাজেও ব্যবহার করতে পারবেন। 
 
ইন্টারেস্ট চার্জ বা বিলম্ব জরিমানা (লেট ফি) নিয়ে গ্রাহকদের চিন্তা করতে হবে না। এটি ডেবিট কার্ড হওয়ায় এতে এই ধরনের কোনো চার্জ প্রযোজ্য হবে না। বরং গ্রাহকরা ৩০০টিরও বেশি পার্টনার মার্চেন্টে ডিসকাউন্ট সুবিধা পাবেন।  

আস্থা অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকরা ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের সুবিধা পাবেন এবং লেনদেনের বিস্তারিত দেখতে পারবেন।  
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেওয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে। ব্যাংকটির ১৮৭টি শাখা, ৩৭৪টি এটিএম, ৪৬১টি এসএমই ইউনিট অফিস, ৭০০টিরও বেশি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট রয়েছে। 

আরএম/আইএসএইচ