সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা থাকলেও গ্রাহক কম/ ছবি: ঢাকা পোস্ট

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এই সময়ে প্রথমে ব্যাংক বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও পরে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন এবং সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে ঢিলেঢালাভাবে।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর ব্যাংক পাড়া মতিঝিল, দিলকুশা, দৈনিক বাংলা, পল্টনসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ব্যাংকের শাখায় গ্রাহকের উপস্থিতি কম। বি‌শেষ প্র‌য়োজন ছাড়া কেউ ব্যাংকে আস‌ছেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংক বন্ধ থাকার খব‌রে গত তিন‌দিন গ্রাহক বেশি বেশি করে টাকা উত্তোলন করেছেন। এছাড়া বিধিনিষেধের কার‌ণে গণপ‌রিবহন বন্ধ থাকায় অনে‌কে বের হ‌তে পার‌ছেন না। এসব কার‌ণে গ্রাহ‌কের চাপ কম।

ম‌তি‌ঝিলে সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসে গি‌য়ে দেখা যায়, ক্যাশ কাউন্টা‌রে প্র‌তি‌দিনের সেই চি‌রচেনা রূপ নেই। অনেক কাউন্টা‌র গ্রাহকশূন্য। কর্মকর্তারা ব‌সে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন।

জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের ডেপু‌টি জেনা‌রেল ম্যা‌নেজার মোহাম্মদ ম‌নিরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে জানান, ‘লকডাউন’ ও ব্যাংক বন্ধ হওয়ার খব‌রে গত তিন কার্য‌দিবসে গ্রাহকের অনেক ভিড় ছিল, লেনদেনও বেশি হয়ে‌ছে। সাধারণ গ্রাহকরা ওই সময় প্র‌য়োজনীয় লেন‌দেন সে‌রে ফে‌লে‌ছেন। এ কার‌ণে আজ‌ ব্যাংক খোলা থাক‌লেও গ্রাহ‌কের ভিড় কম। এছাড়া বিধিনিষেধের কার‌ণে যানবাহন কম, তাই অনেকে ঘর থেকে বের হতে পারেননি।

ফাঁকা মতিঝিলের ব্যাংক পাড়া

তি‌নি জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নি‌র্দেশনা অনুযায়ী সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হবে। লেনদেন-পরবর্তী আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। সরকা‌রের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে। মাস্ক ছাড়া কাউকে শাখায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না ব‌লে জানান তিনি। 

এদি‌কে ব্যাংকে আসা কর্মীরা জানান, আসার সময় ক‌য়েক‌টি পু‌লিশ চেক পো‌স্টে তাদের থামানো হয়েছে। ব্যাংকের প‌রিচয় দেওয়ার পর ছে‌ড়ে দি‌য়ে‌ছে। স্টাফ বা‌সে যারা এসেছেন তা‌দের সমস্যা না হ‌লেও ব্য‌ক্তিগত গাড়িতে আসার ক্ষে‌ত্রে জবাব‌দি‌হিতা করতে হ‌য়ে‌ছে বেশি।

বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, লেনদেন হচ্ছে, তবে খুব সামান্য। কারণ অনেকে আগেই প্রয়োজনীয় লেনদেন সেরে ফেলেছেন। আসার পথে পুলিশ চেক পোস্টে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে ব্যাংকের কার্ড দেখানোর পরে তারা আর কোনো ঝামেলা করেনি, ছেড়ে দিয়েছে। আসার জন্য মুভমেন্ট পাসের প্রয়োজন হয়নি বলে জানান তিনি।

কমলাপুর থেকে সোনালী ব্যাংকে আসা এক গ্রাহক বলেন, ব্যাংক খোলা আছে শুনে এফডিআর এর টাকা জমা দিলাম। কোনো লাইন ধরতে হয়নি। কারণ আমি একাই ছিলাম।

এসআই/এসএসএইচ/জেএস