সকালে তিন ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়ক। পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সামনেও। এ অবস্থায় জলাবদ্ধতা সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকেও। প্রতিষ্ঠানটির মূল ফটক থেকে ৩০তলা ভবনের রাস্তায় পানি জমেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ব্যাংকে আসা বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারীসহ সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ।
 
মঙ্গলবার (১ জুন) বৃষ্টির পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দেখা গেছে এমন চিত্র। এ সময় বিভিন্ন কাজে ব্যাংকে আসা লোকজনকে তাদের জুতা খুলে হাঁটু পানির মধ্য দিয়ে ব্যাংকে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। আবার এমন পরিস্থিতি দেখে অনেকে এসে বাইরে থেকেই চলে যাচ্ছেন। আর যারা ভেতরে রয়েছেন পানির কারণে তাদের বের হতে সমস্যা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল ফটকের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, পানি জমে যাওয়ায় সেবা নিতে আসা লোকজন জুতা খুলে, কাপড় গুটিয়ে হাঁটু পানির মধ্য দিয়ে ব্যাংকে প্রবেশ করছেন। অনেকে অতি জরুরি কাগজপত্র মাথায় নিয়ে পানি পার হচ্ছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল ফটক থেকে অনেকে রিকশায় উঠে জলাবদ্ধ জায়গা পার হচ্ছেন। আবার পানি জমে থাকায় গাড়িও জটলা বেধে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাং‌কে আসা বেসরকা‌রি ব্যাং‌কের কর্মী সাব্বির আহম্মেদ জানান, ব্যাং‌কের কিছু কাগজপত্র জমা দি‌তে এ‌সে‌ছি। পল্টন থেকে এসেছি, বিভিন্ন জায়গায় পা‌নি। রিকশা দিয়ে এসেছি তাই পানিতে নামতে হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকে আসলাম এখনও পানি জমে আছে। এখনে বাধ্য হ‌য়ে জুতা খু‌লে পা‌নিতে নামতে হলো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক নিরাপত্তাকর্মী জানান, টানা এক থেকে দুই ঘণ্টা বৃ‌ষ্টি হ‌লেই এখা‌নে পা‌নি জ‌মে যায়। বেশি বৃষ্টি হলে পা‌নি নাম‌তে তিন চার ঘণ্টা লে‌গে যায়।

এদিকে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক ব্যাংকার জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো একটি প্রতিষ্ঠান যদি পানির নিচে এভাবে ডুবে থাকে তাহলে কিছু বলার থাকে না। নিয়ন্ত্রণ সংস্থা হিসেবে এখানে কাজ থাকে তাই অনেকে আসে। অধিকাংশ ব্যক্তিকেই ফরমাল ড্রেসে আসতে হয়। এখন যদি জুতা খুলে এই নোংরা পানিতে নে‌মে ভেত‌রে যেতে হয় তাহলে কী অবস্থা চিন্তা করা যায়। খুবই বিরক্তকর। পানিতে নামা ছাড়া কোনো উপায় নেই।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুসারে, রাজধানীতে তিন ঘণ্টায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাতে তলিয়ে গেছে অধিকাংশ রাস্তা। ভোগান্তিতে পড়েছেন রাস্তায় বের হওয়ার লোকজন।

এসআই/জেডএস