পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট কাটাতে বিশেষ তহবিল গঠন করেছে সরকারি-বেসরকারি ২৩টি বাণিজ্যিক ব্যাংক। যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬২২ কোটি টাকা। এর ৩৫ শতাংশ অর্থ ই‌তোম‌ধ্যে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছে ব্যাংকগুলো।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য এ তহবিল গঠন করেছে ব্যাংকগুলো। তহবিল থেকে ইতোমধ্যে ৩৫ শতাংশ বা প্রায় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান জানান, পর্যায়ক্রমে বাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ছে। তহবিলের অর্থ বাজারে আরও বিনিয়োগ হবে। আর তাতে পুঁজিবাজারের লেনদেনের গতি বাড়বে। তাতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে। বাজার স্থিতিশীল হবে।

এর আগে পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট কাটাতে বিশেষ তহবিল গঠনের জন্য গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এক নির্দেশনা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে বলা হয়, এখন থেকে যেকোনো ব্যাংক তার নির্ধারিত সীমার বাইরেও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ২০০ কোটি টাকার ‘বিশেষ তহবিল’ গঠন করতে পারবে। অর্থাৎ একটি ব্যাংক তাদের মোট মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করতে পারবে না। আর এ ২০০ কোটি টাকা ওই ২৫ শতাংশের আওতামুক্ত থাকবে। ব্যাংকগুলো ইচ্ছে করলে তাদের নিজস্ব উৎস থেকে তহবিল গঠন করতে পারে। আবার তাদের হাতে থাকা ট্রেজারি বিল ও বন্ড বন্ধক রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কম সুদে ধারও নিতে পারবে। 

৫ বছর মেয়াদী এ তহবিলের সুদ হার নির্ধারিত ছিল ৫ শতাংশ। তবে পরে বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সুদ হার দশমিক ২৫ শতাংশ কমানো হয়। বর্তমানে এই তহবিলের সুদ হার ৪ দশমকি ৭৫ শতাংশ নির্ধারিত আছে।

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি যে ছয় দফা নির্দেশনা দিয়েছিলেন, তাতে পুঁজিবাজারে ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং মার্চেন্ট ব্যাংকার ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার কথা। তারই ধারাবাহিকতায় ব্যাংকগুলোকে বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেওয়া হয়।

এসআই/এইচকে