বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানের মতো সেবা শিল্প প্রতিষ্ঠানও তাদের বিদেশি প্যারেন্ট কোম্পানি কিংবা শেয়ার হোল্ডারদের কাছ থেকে স্বল্প মেয়াদি বৈদেশিক ঋণ নিতে পারবে। আগে এই সুযোগ ছিল না। 

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ও ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া সহজ করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান ছাড়াও সেবাখাতের শিল্প প্রতিষ্ঠানও তাদের বিদেশি প্যারেন্ট কোম্পানি কিংবা শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে স্বল্প মেয়াদি বৈদেশিক ঋণ নিতে পারবে। তবে এ সুবিধা ট্রেডিং ব্যবসায়ীদের জন্য প্রযোজ্য হবে না।

উৎপাদন ও সেবা কার্যক্রম শুরু থেকে ৬ বছর পর্যন্ত এ সুবিধা নেওয়া যাবে; আগে এ সুবিধা ছিল ৩ বছর। একই সাথে বিনিময়যোগ্য বৈদেশিক মুদ্রায় আলোচ্য ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করা যাবে। তবে ঋণ বাবদ প্রাপ্ত অর্থের নগদায়নকৃত টাকা মূল্যের ওপর ব্যাংকের ৩ মাস মেয়াদি ডিপোজিটের ওপর প্রযোজ্য সুদ হার উক্ত ঋণের ক্ষেত্রে আরোপ করা যায়। এ বিষয় ২০১৯ সালে জারিকৃত সার্কুলারে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও নগদায়নকৃত টাকা ও সুদ বৈদেশিক মুদ্রায় রূপান্তরে মাধ্যমে তা মেয়াদ শেষে পরিশোধ্য হবে বলে ওই সার্কলারে বলা আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ঋণ গ্রহণের সময়সীমা দ্বিগুন করায় বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো চলমান অবস্থায় স্বস্তি পাবে বলে জানিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

প্যারেন্ট কোম্পানি থেকে ঋণ গ্রহণের নীতি সহায়তার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে বৈদেশিক লেনদেন ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত সময়োপযোগী করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। নতুন এ নীতি সহায়তার ফলে বিদেশি মালিকানাধীন/নিয়ন্ত্রনাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো সহজেই চলতি মূলধন নিতে পারবে।

এসআই/এনএফ