ইতিবাচক ধারায় পুঁজিবাজার
আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন। ব্যাংক, বীমা খাতসহ বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় সকালেই বেড়েছে লেনদেনের গতিও।
ফলে বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর পর আধা ঘণ্টায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ৩৭ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে দেড়শ কোটি টাকা। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক বেড়েছে ৬৯ পয়েন্ট।
বিজ্ঞাপন
বাজারের এই অবস্থাকে ইতিবাচক ধারা বলছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, শেয়ার বিক্রির চাপ কমায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক কিছুটা কমেছে। তারা নতুন করে বিনিয়োগ করছেন। তাতে ব্যাংক, বীমাসহ বেশি কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। ওইদিনও ব্যাংক, বীমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতসহ বেশিরভাগ খাতের শেয়ারের দাম বেড়েছিল। তবে তার আগে টানা দুদিন (বোর ও সোমবার) পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছিল। তাতে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমেছিল ২১ হাজার কোটি টাকা।
বিজ্ঞাপন
ডিএসইর তথ্য মতে, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১৫৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এ সময়ে ডিএসইতে ৩৫২টি সিকিউরিটিজের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৩টির, কমেছে ৫৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
তাতে ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৭ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৫৩৬ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট, ডিএস-৩০ সূচক বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এ সময়ে লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার। সিএসইর প্রধান সূচক ৬৯ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৯৮৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩টির, কমেছে ১৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এমআই/জেডএস