ডিসিসিআই সভাপতির সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনানের সৌজন্য সাক্ষাৎ /ছবি- সংগৃহীত

যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগামী সপ্তাহ থেকে ‘ব্রিটেন-বাংলাদেশ বাণিজ্য সংলাপ’ আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনি এ তথ্য জানান।

মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সৌজন্য সাক্ষাতের সময় ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগামী সপ্তাহ থেকে ‘ব্রিটেন-বাংলাদেশ বাণিজ্য সংলাপ’ আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে দুদেশের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন।

তিনি আরো বলেন- বাংলাদেশে স্বাস্থ্য, উচ্চ শিক্ষা, আর্থিক খাত ও আর্থিক প্রযুক্তি (ফিনটেক) খাতগুলো বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার বাজারে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রম নিশ্চিতকরণের কোন বিকল্প নেই। এদেশে আন্তর্জাতিক মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রম চালুকরণে ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ অত্যন্ত আগ্রহী। তবে তা নিশ্চিতকরণে তিনি বিদ্যমান নীতিমালাগুলোর কার্যকর ব্যবহারের আহ্বান জানান।

এ সময় ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের তৃতীয় বৃহত্তম বাজার হলো যুক্তরাজ্য। যেখানে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রায় ৩.৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। যার বিপরীতে ৪১১.০৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করে। 

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে তৈরি সফটওয়্যার রপ্তানির দ্বিতীয় বৃহত্তম গন্তব্য হলো যুক্তরাজ্য। গত অর্থবছরের মোট সফটওয়্যারের প্রায় ১৩ ভাগই যুক্তরাজ্যের বাজারে রপ্তানি করা হয়েছে। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি হারে সফটওয়্যার ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সেবা আমদানির পাশাপাশি এখাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য যুক্তরাজ্যের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। 

তিনি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের পণ্য ছাড়াও শাক-সবজি, ফলমূল, বাইসাইকেল, ব্যাটারি, পাটজাত পণ্য এবং পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য আমদানির প্রস্তাব করেন। ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে ব্রিটেনের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্রিটিশ সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 

সাক্ষাৎকালে ডিসিসিআই সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন ও ব্রিটিশ দূতাবাসের বেসরকারিখাতের উন্নয়ন বিষয়ক কর্মকর্তা মহেশ মিশ্রা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরএম/ওএফ