তালিকাচ্যুতি থেকে পুঁজিবাজারে ফিরেছে রহিমা ফুড করপোরেশন লিমিটেডের শেয়ারের দাম হঠাৎ বাড়ছে।  মাত্র ৭ কার্যদিবসে এ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৮৮ টাকা। একই সময়ে লেনদেন হয়েছে ৮৩ কোটি ৪২ লাখ ৭৩ হাজার টাকার শেয়ার। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, ম্যানুপুলেশনের মাধ্যমে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ানো হচ্ছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ মনে করছে কোম্পানিটির শেয়ার অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে।

ডিএসই ও সিএসইর পর্যবেক্ষণ  

হঠাৎ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ার পেছনে কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য রয়েছে কি না, তা জানতে চেয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জ দুটি। এছাড়াও শেয়ারটি নিয়ে কারসাজি হচ্ছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে তারা।

কোম্পানির বক্তব্য 

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চিঠির জবাবে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের কাছে শেয়ারটির দাম বৃদ্ধির কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। 

বিশ্লেষকদের অভিমত 

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গ্যাম্বলিং আইটেম বাজারের জন্য ক্ষতিকর। অনেক অভিযোগের পর শেয়ারটিকে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত করা হয়েছিল। এটিকে ফেরানোর সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। তার প্রমাণ শেয়ারটিতে এখনই কারসাজি হচ্ছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে ছিল। শেয়ারহোল্ডাদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারছিল না। সেজন্য তালিকাচ্যুত করা হয়েছিল। এখন আবার গ্যাম্বলিং হচ্ছে। এভাবে হতেই থাকবে।

বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এসব কোম্পানির শেয়ারে বুঝে শুনে বিনিয়োগ করতে হবে। গুজবে কান না দিয়ে সঠিক তথ্য জেনে বিনিয়োগ করতে হবে।

কোম্পানির অবস্থা 

চলতি বছর পুনরায় পুঁজিবাজারে পুনরায় তালিকাভুক্ত হওয়া রহিমা ফুড ৩১ জুন ২০২০ পর্যন্ত লোকসানে ছিল।  চলতি বছরের ৭ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ১৭৯ টাকা। ১৬ মার্চ সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ২৬৬ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৮৮ টাকা।

খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের কোম্পানিটির বর্তমান শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ২০০টি, ২৬৬ টাকা ৮০ পয়সা হিসাবে যার মোট দাম ৫০৭ কোটি ৬০ লাখ ৫১ হাজার টাকা। কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ২০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এছাড়াও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৩৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ার।

গত বছর দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ২২ পয়সা। আর দুই প্রান্তিকে অর্থাৎ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৮ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারে লোকসান ছিল ১ টাকা ৫৫ পয়সা।

এমআই/আরএইচ