ট্রেক ইস্যু আবেদনের সময় আরও ১০ দিন বাড়াল ডিএসই
ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক) ইস্যুর আবেদনের সময় আরও ১০ দিন বাড়াল দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মতিন পাটোয়ারী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএসইর নতুন ট্রেকের আবেদনের শেষ সময় ছিল ১৭ মার্চ। সম্ভাব্য আবেদনকারীর সুবিধা বিবেচনায় সেই সময় আরও ১০ দিন বাড়িয়ে আগামী ১৮ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ডিএসইর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ট্রেক বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, ট্রেক হচ্ছে শেয়ার লেনদেনের অধিকার সনদ বা ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট। এ সনদ ছাড়া বাজারে কেউ শেয়ার লেনদেন করতে পারে না। বর্তমানে ডিএসইর সদস্যপদ ২৫০টি। কিন্তু সক্রিয় রয়েছে ২৩৮টি। গত বিশ বছর ধরে কোনো ট্রেক দেওয়া হয়নি।
আর ট্রেক কিনতে আগ্রহী কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন হতে হবে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা। পাশাপাশি জামানত হিসেবে ডিএসইতে ৫ কোটি টাকা জমা রাখতে হবে। এ জামানতের টাকা থেকে সুদ বাবদ যে অর্থ আয় হবে, তা ডিএসইসির তহবিলে যাবে। ডিএসইর বর্তমান ট্রেকহোল্ডাররা লেনদেন ১০ কোটি টাকার ফ্রি লিমিট (লেনদেনের সীমা) ভোগ করেন। নতুন ট্রেকও এ সুবিধা পাবে। এর বেশি টাকার সুবিধা নিতে গেলে প্রতিষ্ঠানটিকে বাড়তি টাকা জমা রাখতে হবে। ট্রেকের জন্য আবেদন করতে আবেদনপত্র কিনতে হবে ১০ লাখ টাকায়।
বিজ্ঞাপন
স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন তথা মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনাকে আলাদা করা সংক্রান্ত আইনে ট্রেক ইস্যুর বাধ্যবাধকতা আছে। এরপর গত বছরের ২৫ মার্চ ডিএসইর সম্মতি নিয়ে ট্রেক সংক্রান্ত খসড়া বিধিমালা প্রকাশ করেছিল বিএসইসি। এতে ট্রেক পেতে ৫ লাখ টাকা নিবন্ধন ফি ও ১ লাখ টাকা আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছিল। এছাড়া কমপক্ষে ৩ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন ও ২ কোটি টাকা জামানতের কথা বলা হয়েছিল তাতে।
এমআই/এনএফ