প্রায় তিন বছর বন্ধ থাকার পর ১ এপ্রিল থেকে রিং ইউনিটে উৎপাদন শুরু করবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেড। এর ফলে আরও ৫০ শতাংশ উৎপাদন বাড়বে কোম্পানিটির। সোমবার (২৯মার্চ) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

৫০ শতাংশ উৎপাদন বন্ধ থাকা মোজাফফর হোসেন কোম্পানির উৎপাদন আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে। তাতে আশা করা হচ্ছে দিনে ২০ হাজার টন উৎপাদন বাড়বে। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে রিং ইউনিটে উৎপাদন শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পর্ষদ। তার আগেই বন্ধ থাকা ইউনিটটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়।

এরপর গত মাসে কোম্পানিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তাতে কোম্পানির দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এদিকে চলতি অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর) মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলসের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬১ পয়সা। এর মধ্যে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ পয়সা। যা এর আগের বছর লোকসান ছিল ৩৩ পয়সা। তাতে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৬৩ পয়সা।

ডিএসইতে রোববার (২৮ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বশেষ দাম ছিল ১২ টাকা ৭০ পয়সা। সর্বশেষ লেনদেন হয়েছিল ১০ টাকা ২৮ পয়সায়।

ব্যবসা সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিজস্ব উৎসের পাশাপাশি ইসলামী ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (আইডিবি) কাছ থেকে ঋণসহায়তা রিং স্পিনিং ইউনিট চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। এতে ব্যয় হয় ১৬৬ কোটি টাকা।

২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরে ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।

সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১৯ পয়সা। আর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ১ পয়সা।

৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধন ও ১০০ কোটি ৯৯ লাখ ৩০ হাজার টাকার পরিশোধিত মূলধন কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা ১০ কোটি ৯ লাখ ৯৩ হাজার ৩৭৪। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে কোম্পানির ৩৯ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ২৯ দশমিক ৬০, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে দশমিক ৬ এবং সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের হাতে রয়েছে কোম্পানির ৩০ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

এমআই/এইচকে