এনআরবি কমার্শিয়াল বা এনআরবিসি ব্যাংক লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদন শুরু হচ্ছে ফেব্রুয়ারি মাসের ৩ তারিখ। ওই দিন সকাল ১০টায় শুরু হবে আবেদন, চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

আইপিওর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের ব্যাংকটি পুঁজিবাজার থেকে ১২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীর পাশাপাশি ক্ষুদ্র, ক্ষতিগ্রস্ত, প্রবাসী এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আবেদন করতে পারবেন।

আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য গত বছরের ১৮ নভেম্বর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটিকে অনুমোদন দেয়।

ফিক্সডপ্রাইস পদ্ধতির আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ১২ কোটি সাধারণ শেয়ার বিক্রি করে ১২০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এর মধ্যে ব্যাসেল-৩ শর্ত পরিপালনে ১১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে সরকারি সিকিউরিটিজে। আর সাড়ে ৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে পুঁজিবাজারে। আর আইপিও খাতে ব্যয় হবে বাকি সাড়ে ৩ কোটি টাকা।

এর ফলে এক যুগ পর ব্যাংক খাতের কোনো কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে যাচ্ছে। এর আগে সবশেষ ২০০৮ সালে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংক খাতের কোম্পানি হিসেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু হওয়া ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন ৫৮২ কোটি টাকা। ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৫ পয়সা। এর আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৮২ পয়সা। আর ২০২০ বছরের অর্ধবার্ষিকীতে ইপিএস ৬২ পয়সা।আর ২০১৯ সালে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) রয়েছে ১৩ টাকা ৮৬ পয়সা।

২০১৩ সালে চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে ৯টি ব্যাংক অনুমোদন পায়। এর মধ্যে প্রবাসীদের সমন্বয়ে গঠিত এনআরবিসি ব্যাংক একটি। এই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধক পরিদপ্তর (আরজেএসসি) থেকে ব্যাংক কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধন পায় ব্যাংকটি।
ব্যাংকটির ইস্যু ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড।

এমআই/এনএফ