কেসিপিএলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পায়রার লভ্যাংশ ঘোষণা
শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১ টাকা ৩০ পয়সা করে নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউনাইটেড পায়রা লিমিটেড। ৩০ জুন ২০২১ সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। রোববার (৩অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়, ইউনাইটেড পায়রা লিমিটেড ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ কোটি ৬ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকার লভ্যাংশ দেবে। কোম্পানির সর্বশেষ পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
ইউনাইটেড পায়রার ৩৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (কেপিসিএল)। ২০১০ সালে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানিটি ৩০ জুন-২০২০ সমাপ্ত বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এর আগের বছর ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। কোম্পানিটির বর্তমান শেয়ার সংখ্যা ৩৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৩ হাজার ১৭৯টি।
চলতি বছরের মে মাসে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হয়েছে কেপিসিএলসহ ৫টি কোম্পানির। ভাড়াভিত্তিক পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সায় দিয়েছেন। তারপর চুক্তির শর্তে সুবিধা বাড়ানোর চেষ্টায় চার বিদ্যুৎ কোম্পানি।
বিজ্ঞাপন
প্রধানমন্ত্রী কোনো শর্ত ছাড়াই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ বাড়ানোর ফাইলে সই করলেও কোম্পানিগুলো এখন ন্যূনতম ভাড়া বা ক্যাপাসিটি চার্জ আদায় করতে চাইছে। এটা না হলে সরকার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বিদ্যুৎ কিনবে- এমন নিশ্চয়তা চাইছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়ার পর ২৯ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-পিডিবির চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা।
পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি বা কেপিসিএলের দুটি, সামিট পাওয়ারের একটি ওরিয়ন গ্রুপের একটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। অন্যদিকে ডাচ্-বাংলা অ্যাসোসিয়েটের কেন্দ্রটি তালিকাভুক্ত নয়।
এসব কেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে চলতি বছরের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে। সে সময় সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল কুইকরেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। তবে পরে সেই অবস্থান থেকে সরে এসে যে আইনের অধীনে কেন্দ্রগুলো চলেছে তার মেয়াদ বাড়ানো হয় আরও পাঁচ বছর।
এমআই/এসএম