টানা পাঁচ কার্যদিবস পর সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সোমবারও (১৮ অক্টোবর) সূচক পতনের মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে। প্রথম ঘণ্টায় (সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত) ৩৬৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৭টির, কমেছে ২০৯টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের।

তাতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে কমেছে ৪৫ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ১০৩ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেশকিছু কোম্পানির শেয়ার কারসাজির চক্রকে ধরছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ চক্রটি নিজেরা বাঁচতে এখন পুঁজিবাজারে পরিকল্পিতভাবে দরপতন ঘটাচ্ছে। পাশাপাশি বেশকিছু কোম্পানির শেয়ারের মূল্য সংশোধন হচ্ছে। এ দুই ইস্যুতে বড় দরপতনের পথে পুঁজিবাজার।

সর্বশেষ টানা পাঁচ কার্যদিবস দরপতন হয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়েছে ৭ হাজার ৯ কোটি টাকা। আজ দিনের শুরু থেকেই সূচক পতন হওয়ায় নতুন করে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। তারা আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন।

ডিএসইর তথ্যমতে, সোমবার প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৫ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার ১৪০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক কমেছে ১১ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ২০ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট কমেছে। এসময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৭৮ কোটি ২৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকার শেয়ার।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ১০৩ পয়েন্ট কমে ২১ হাজার ১২৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এসময়ে লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ১০ হাজার টাকার শেয়ার। লেনদেন হওয়া ১৬৬টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫১টির, কমেছে ৯৫টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এমআই/এসএসএইচ