করোনার কারণে ২০২০ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি-এসএসসির ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে অটোপাস দেওয়া হয়েছে। তারপরও কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তাকে রিভিউ করার সুযোগ দেয় শিক্ষাবোর্ড। এতে ফলে সন্তুষ্ট নয় প্রায় ১৫ হাজার ৭২৭ জন শিক্ষার্থী তা পরিবর্তনের জন্য শিক্ষাবোর্ডে রিভিউ আবেদন করেছেন। এ রিভিউয়ের ফল প্রকাশ করা হবে রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি)।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ এ তথ্য জানিয়ে বলেন, যাদের ফল পরিবর্তন হবে তা বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। দেশের সবগুলো শিক্ষাবোর্ড এ রিভিউয়ের ফল একসঙ্গে প্রকাশ করবে।
 
গত ৩০ জানুয়ারি এইচএসসি ও সমমানের মূল্যায়নের ফল প্রকাশ করা হয়। এর পরেরদিন ৩১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফল রিভিউ করার সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা। ফল রিভিউ চেয়ে ১১টি শিক্ষাবোর্ডে আবেদন করেন ১৫ হাজার ৭২৭ জন শিক্ষার্থী। 

বোর্ডগুলোর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, রিভিউ আবেদনের শীর্ষে রয়েছে ঢাকা শিক্ষার্বোড। এ বোর্ডে আবেদনের সংখ্যা ৪ হাজার ১১৫ জন, বরিশাল বোর্ডে ৬৪২ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে এক হাজার ৮৮৫ জন, কুমিল্লা বোর্ডে এক হাজার ২৭ জন, ঢাকা বোর্ডে চার হাজার ১১৫ জন, দিনাজপুর বোর্ডে এক হাজার ২২৭ জন, যশোর বোর্ডে এক হাজার ৬৯৪ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৯১৬ জন, রাজশাহী বোর্ডে এক হাজার ৯২২ জন, সিলেট বোর্ডে ৯৪৭ জন, কারিগরি বোর্ডে ৫৩৫ জন, মাদরাসা বোর্ডে ৫১৭ জন। 
 
এবার জেএসসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বিষয় ‘ম্যাপিং’ (বিষয়ভিত্তিক নম্বর গণনা) করে ফল তৈরির কারণে আগের দুটি পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ার পরও ৩৯৬ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাননি।

গত ৩০ জানুয়ারি এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এবার অটোপাস দেওয়ায় পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন করা সব শিক্ষার্থীই পাস করেছেন। পাস করাদের মধ্যে ১ লাখ ৬১ হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

এনএম/জেডএস