ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভুয়া বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারিকৃত স্মারক নম্বর- সিম/সা: ১১/৩-৯/২০১১/২৫৬, তারিখ: ০৬/০৬/২০১১ এর স্থলাভিষিক্ত উল্লেখ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন বিষয়ে এ বিভাগের উপসচিব মো. মিজানুর রহমানের নাম ও সই ব্যবহার করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জারিকৃত ভুয়া একটি পত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, একই স্মারক ও তারিখে স্থলাভিষিক্ত উল্লেখ করে স্মারক নম্বর-সিম/সা:১১/৩-৯/২০১১/২৫৬; তারিখ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ লিখে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে এ বিভাগ থেকে কোনো পত্র জারি করা হয়নি।

এ ধরনের প্রতারক চক্র থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য এবং বর্ণিত ভুয়া পত্রের আলোকে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ করা হলো। 

উল্লেখ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও, ব্যক্তি এমপিও, পদোন্নতি, বিষয় খোলা, বিভাগ খোলা ও নাম পরিবর্তন ইত্যাদি সংক্রান্ত সব নির্দেশনাবলি এ বিভাগের দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মিজানুর রহমানের নাম ও সই ব্যবহার করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি যে বিজ্ঞপ্তিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়েছে সেটি ভুয়া। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। 

যা ছিল ভুয়া প্রজ্ঞাপনে -

সহকারী প্রধান শিক্ষক একনাগাড়ে ৬ মাসের বেশি ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। যদি ৬ মাসের মধ্যে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে জ্যেষ্ঠতম ৩ শিক্ষকের মধ্য হতে যে কোনো একজনকে পরবর্তী ৬ মাসের জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দিতে হবে। এক মেয়াদে ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করলে পরবর্তী ১ বছর পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান হওয়া যাবে না।

এতে আরও বলা হয়েছিল, ৬ মাসের বেশি ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এমন যারা আছেন তারা ১ মাসের মধ্যে জ্যেষ্ঠতম ৩ শিক্ষকের মধ্য হতে যেকোনো একজনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন। জ্যেষ্ঠতম শিক্ষক নির্ধারণে এমপিও নীতিমালা ২০২১ (১৩ নম্বর অনুচ্ছেদ) অনুসরণ করতে হবে।

মামলা, মহামারি বা অন্য কোনো কারণে দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব না হলে ৬ মাস পর পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পরিবর্তন করতে হবে বলেও ভুয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছিল। 

এমএম/এমএ