জামালপুরে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২১ উদযাপন করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। 

পরে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ। শ্রদ্ধা জানানো হয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতেও।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার ভট্টাচার্য, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

শ্রদ্ধা জানানো শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। পরে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ। 

তিনি বলেন, আজ আমরা এমন একজন ব্যক্তিত্বের জন্মদিন উদযাপন করছি, যিনি অনায়াসে ইতিহাসকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি একটি জাতির আত্মপরিচয়ের সন্ধান দিয়েছেন। এ অঞ্চলের মানুষের মাতৃভাষা বাংলাকে তিনি আত্মপরিচয়ের ভাষায় পরিণত করার অসামান্য পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে, তিনি একটি জাতিকে ভৌগোলিক ঠিকানা দিয়ে গেছেন। সার্বভৌমত্বের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। তার জন্যই আমরা বলতে পারি আমার ঠিকানা বাংলাদেশ।

প্রফেসর ড. সামসুদ্দিন বলেন, জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার প্রত্যয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আর এর নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আসুন, আমরা তার হাতকে শক্তিশালী করি। আমাদের শিশুদের ভবিষ্যত নেতৃত্বের জন্য গড়ে তুলি, তারা মেধা ও প্রজ্ঞায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করুক, পৃথিবীর বুকে বয়ে আনুক মাতৃভূমির সম্মান। 

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক ড. এ.এইচ. এম মাহবুবুর রহমান। 

বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)-এর কারণে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

এদিকে কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্থানীয় মসজিদে দোয়া ও উপাসনালয়ে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। 

জেডএস