সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের মাত্রা বাড়তে থাকায় ৩০ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে কি-না এ বিষয়ে ২৬ মার্চের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার আগে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। করোনার জন্য গঠিত টেকনিক্যাল কমিটি ও আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সবার মতামত নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দফতরে ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য ২৬ মার্চের পরে সভা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সচিব জানান, সামাজিক যোযোযোগ মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে যেসব তথ্য ছড়ানো হচ্ছে তার বেশিরভাগ ভুয়া। ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণার পর এ নিয়ে কোনো বৈঠক হয়নি। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত পরবর্তী মন্ত্রীপরিষদ থেকে মাঠ প্রশাসনকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখেছি দুদিন আগে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের নামে ভুয়া একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে এবং সোমবার আন্তঃমন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়েছে এসব ভূয়া সংবাদ ছড়ানো হচ্ছে। এসব বিভ্রান্তিমূলক  তথ্যে কান না দিতে শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের অনুরোধ করেন তিনি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ মার্চ (বুধবার) থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় সরকারের সবাই ব্যস্ত সময় পার করবেন। এজন্য উল্লেখিত সময়ের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে বসতে আগ্রহী নন সংশ্লিষ্টরা।

অন্যদিকে সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী স্কুল-কলেজ খোলার কথা ৩০ মার্চ। ২৯ মার্চ পবিত্র শবে বরাত। সে হিসেবে ৩০ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে। সব বিবেচনায় স্কুল-কলেজের ছুটি আরো বৃদ্ধি করা হলেও সেই ঘোষণা ২৬ মার্চের আগে হওয়ার সম্ভবনা কম। 

এনএম/এসকেডি