করোনার কারণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সিলেবাস কমার পর এবার কমেছে কারিগরিতে। কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধীনে ডিপ্লোমা-ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার উত্তরপত্রের মোট নম্বর কমানো হয়েছে। এজন্য পরীক্ষার সময়ও কমিয়ে আনা হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যবহারিকসহ সব পরীক্ষায় এক মান অনুসরণ করা হবে।

সোমবার (২২ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের উপসচিব (অডিট ও আইন) মাহমুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনার কারণে ২০২০ সালের ডিপ্লোমা পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষাক্রমের ২য়, ৪র্থ, ৬ষ্ঠ ও ৮ম পর্বের নিয়মিত, ৫ম ও ৭ম পর্বের অকৃতকার্য বিষয় এবং ৮ম পর্বের অনিয়মিত পরীক্ষা যথাসময়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি বিবেচনায় রেখে ডিপ্লোমা পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষাক্রমের পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়সহ অংশীজনের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় চারটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে- সব প্রবিধানের আওতায় পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে মুদ্রিত মোট নম্বরের ৫০ শতাংশের উত্তর দিতে হবে (সব বিভাগের যেকোনো প্রশ্ন মিলিয়ে)। সব বিষয়ের ৩ ঘণ্টার পরীক্ষা ২ ঘণ্টা এবং ২ ঘণ্টার পরীক্ষা ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি বিষয়ে পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরকে দ্বিগুণ করে ফল নির্ধারণ করা হবে এবং ৮ম পর্বের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্টের ফল অন্যান্য পর্বের ফলের আগেই পৃথকভাবে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যাদের বিগত পর্বে রেফার্ড বিষয় আছে তাদের ফল অন্যান্য পর্বের সঙ্গে প্রকাশ করা হবে। 

আরও বলা হয়, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) আইন, ২০২১ এর ৮(২) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে উপরেল্লিখিত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের আলোকে পরীক্ষার ফল প্রস্তুত, প্রকাশ ও সনদ বিতরণের জন্য বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এ প্রজ্ঞাপনটি জারির ক্ষেত্রে যথাযথ কৃর্তপক্ষের অনুমোদন রয়েছে। যা অবিলম্বে কার্যকর করতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত এক বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। ফলে ক্লাস রুমে সরাসরি পাঠদান করানো সম্ভব হয়নি। অনলাইনে নিয়মিত পাঠদান সম্প্রচার করা হলেও কেউ কেউ সে সুবিধার আওতায় আসতে পারেনি। এসব বিবেচনায় পরীক্ষার পূর্ণমান ও সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। এটি অনুসরণ করে অপেক্ষমাণ ডিপ্লোমা পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আইনে কিছুটা সংশোধন করে পরীক্ষার নম্বর ও সময় কমিয়ে আনা হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর নিয়মিত ক্লাস কার্যক্রম শুরু করা হলে নতুন পদ্ধতি বাতিল করা হবে। বর্তমান মহামারিতে শিক্ষার্থীদের শিখন নিয়মিত রাখতে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এনএম/জেডএস