শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পুরাতন ছবি

হাইকোর্টের রায়ের পর সরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন ফের উন্মুক্ত করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। বয়সের কারণে এর আগে যেসব শিক্ষার্থী প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করতে পারেনি তারা আদালতের রায়ের পর গত ৩১ ডিসেম্বর বিকাল ৫ টা থেকে আবেদন করছে।

রোববার (৩ জানুয়ারি) দুুপুর পর্যন্ত মোট ৫ লাখ ৬ হাজার ১১৫ জন ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। এরমধ্যে ৩১ ডিসেম্বর থেকে রোববার পর্যন্ত নতুন করে আবেদন করেছে ২০ হাজারের বেশি। আগামী ৭ জানুয়ারি বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, নতুন করে আবেদন নেয়ার পর ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। শনিবার (২ জানুয়ারি) বিকাল ৫টা পর্যন্ত নতুন করে ১১ হাজার ২৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করেছে। আজ (রোববার) পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি আবেদন পড়েছে বলে আমার ধারণা। আরও ৪ দিন আবেদন নেয়া হবে। এরমধ্যে আরও অর্ধলক্ষাধিক আবেদন পড়বে। 

এর আগে দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন ১৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে ২৭ ডিসেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে। ওই সময় মোট আবেদন করে ৪ লাখ ৯৫ হাজার ২৮৫ জন।

যেভাবে হবে লটারি:
মাউশি সূত্রে জানা গেছে, হাইকোর্টের রায়ের কারণে স্থগিত হওয়া স্কুলে ভর্তির লটারি আগামী ১১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয়ভাবে হবে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ লটারি উদ্ধোধন করবেন। সফটওয়্যারের মাধ্যমে হওয়া এ লটারি শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা দেখতে পারবেন।

তাছাড়া স্কুল প্রধানরা তার আইডি দিয়ে এ লটারিতে অংশ নিতে পারবেন। পরবর্তীতে টেলিটক স্ব স্ব স্কুলের ফলাফল প্রতিষ্ঠানের মেইলে পাঠিয়ে দেবে। প্রতিষ্ঠান সেটি প্রিন্ট করে স্কুলে নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেবে। 

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যমতে, হাইকোর্টে নির্দেশনা মতে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণির ভর্তিতে বয়সের কোনো বাধা নেই। অর্থাৎ প্রথম শ্রেণিতে যেকোনো বয়সের শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। একই সঙ্গে অন্যান্য শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে আগের শ্রেণিতে পড়েছে এমন প্রমাণ থাকলে পরের শ্রেণিতে ভর্তি করতে কোনো বাধা নেই।

৩০ ডিসেম্বর অনলাইনে লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করার কথা থাকলেও বয়স জটিলতায় অনেক শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারেনি। পরে একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক হাইকোর্টে রিট করেন। এতে কোর্ট ভর্তি কার্যক্রম ১০ দিন পিছিয়ে বয়স জটিলতা নিরসন করার নির্দেশ দেন। এরপর লটারি স্থগিত করে মাউশি।

করোনার কারণে এ বছর বিদ্যালয় থেকে ভর্তি ফরম বিতরণ করা হবে না। শুধুমাত্র অনলাইনে (https://gsa.teletalk.com.bd)  আবেদন নিচ্ছে সরকারি স্কুলগুলো।

এবারও স্কুলগুলোকে তিনটি গুচ্ছ বা গ্রুপ (এ, বি এবং সি) করে ভর্তির কাজটি করা হবে। ভর্তি আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারছে।

এনএম/এইচকে