আসন্ন বাজেটে শিক্ষাখাতে বৈষম্য নিরসণ, শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ ও পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মাদরাসা জেনারেল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন।

সোমবার (৩১ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

এতে লিখিত বক্তব্য পড়েন বাংলাদেশ মাদরাসা জেনারেল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের একাংশের সভাপতি মো. হারুন অর রশিদ। প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু। সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শান্ত ইসলাম।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে ২৪ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খাতে ৩৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকা এবং কারিগরি ও মাদরাসা খাতে বরাদ্দ ছিল ৮ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। যেখানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খাতে ৩৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল সেখানে কারিগরি ও মাদরাসায় ২টি বিভাগে বরাদ্দ ছিল মাত্র ৮ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। যে কারণে মাদরাসা শিক্ষায় তেমন কোনো উন্নতি করা যায়নি। এমনকি ২০২০ সালে জারি হওয়া মাদরাসার নতুন সংশোধিত নীতিমালাও বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এজন্য আসন্ন বাজেটে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের বাজেট ১৫ হাজার কোটি টাকা করা হওয়া উচিত। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, সরকারি নিয়মে মেডিকেল ও বাড়ি ভাড়া প্রদান, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা এমপিওভুক্তকরণ, নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ এবং মুজিব জন্মশতবর্ষে মাদরাসাসহ সব শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে বাজেটে শিক্ষাখাতে মোট আয়ের ২০ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে।

এনএম/জেডএস