সারা দেশে সরকারি স্কুল ভর্তির লটারি সোমবার (১১ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। রাজাধানী থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউশন অথবা বেইলি রোডে মন্ত্রীর বাসভবন, এ দুটি স্থানকে ধরে লটারির প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

সারা দেশে ৮০ হাজার আসনের বিপরীতে এবার আবেদন পড়েছে ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৩১১টি। অর্থাৎ এ শিক্ষার্থীদের চোখ থাকবে সোমবার বিকেলের লটারির দিকে।

সার্বিক প্রস্তুতির প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভর্তির লটারি নির্ভুল করতে দুই দফা ট্রায়াল লটারি করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে ভর্তির সঙ্গে সম্পূক্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছি। আশা করি সোমবারের লটারিতে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের স্কুল পাবে।

তিনি জানান, বিকেল ৩টায় লটারি হবে। শিক্ষামন্ত্রী এ লটারির উদ্বোধন করবেন। কোন জায়গা থেকে এটির উদ্বোধন হবে সেটি এখনও ঠিক হয়নি।

যেভাবে হবে লটারি
সারাদেশের লটারি সফটওয়্যারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে হবে। শিক্ষামন্ত্রী উদ্বোধনের পর লটারি শুরু হবে। প্রথমে রাজধানীর স্কুলগুলো, এরপর পর্যায়ক্রমে মহানগরী, জেলা ও উপজেলা শহরের স্কুলগুলোর লটারি হবে।

লটারির কার্যক্রম বাংলাদেশ টেলিভিশন ও অনলাইনের মাধ্যমে প্রচার করা হবে। এ ছাড়াও স্কুল কর্তৃপক্ষ তার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে এ লটারি দেখতে পারবে। শিক্ষার্থী বা অভিভাবক স্কুলে গিয়েও তা দেখার সুযোগ পাবে।

ভর্তির লটারি নির্ভুল করতে দুই দফা ট্রায়াল লটারি করা হয়েছে। আশা করি সোমবারের লটারিতে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের স্কুল পাবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন

লটারি ফলাফল তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিষ্ঠানের মেইলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। প্রতিষ্ঠান সেটি প্রিন্ট করে স্কুলে নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেবে।

এবারও স্কুলগুলোকে তিনটি গুচ্ছ বা গ্রুপ (এ, বি এবং সি) করে ভর্তির কাজটি করা হবে। ভর্তি আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পেরেছে।

৮০ হাজার সিটের বিপরীতে ৫ লাখ ৭৩ হাজার আবেদন
বয়স সংক্রান্ত জটিলতা ও হাইকোর্টের নির্দেশে দুই দফায় আবেদন নেওয়া হয়। এতে মোট আবেদন পড়েছে ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৩১১টি। হাইকোর্টের নির্দেশে দ্বিতীয় দফায় আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর আরও আবেদন পড়ে ৭৯ হাজার ২৬টি।

৮০ হাজার সিটের বিপরীতে এ আবেদন পড়ায় প্রতি সিটের জন্য ১০টির বেশি আবেদন পড়েছে। যারা লটারিতে সুযোগ পাবে তারা এক সপ্তাহ সময় পাবে ভর্তির জন্য।

জানা গেছে, দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন ১৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে ২৭ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে। ওই সময় মোট আবেদন পড়েছিল ৪ লাখ ৯৫ হাজার ২৮৫ জন।

বয়স সংক্রান্ত জটিলতায় আবেদন করতে না পারা শিক্ষার্থীদের একজন হাইকোর্টের রিট করেন। কোর্ট সেই রিট আমলে নিয়ে ভর্তির সময় আরও দশ দিন এবং যেকোনো বয়সের শিক্ষার্থীরা প্রথম ও ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে আবেদন করতে পারবে বলে রায় দেয়।

রায়ের পর সরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন ফের উন্মুক্ত করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। বয়সের কারণে এর আগে যে শিক্ষার্থী প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করতে পারেনি তারা ৭ জানুয়ারি বিকেল ৫টা থেকে আবেদন করার সুযোগ পায়।

এনএম/এনএফ