করোনার কারণে এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে লটারির মাধ্যমে বাছাই করা হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ার একটি ভালো দিক হলো সব স্কুলে এবার বিভিন্ন মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবে।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সরাসরি স্কুলের ভর্তির লটারির উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ কথা বলেন। 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এক কঠিন পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। তাই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে গত বছরের মার্চ মাস থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষণ-শিখন কাজ থেকে বঞ্চিত না হয়, সেজন্য আমরা সংসদ টিভির মাধ্যমে দূরশিক্ষণ, অনলাইন পাঠদান এবং অ্যাসাইনমেন্টভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেছি, যা খুবই সফল ও প্রশংসিত হয়েছে বলে মাঠ পর্যায় থেকে জানতে পেরেছি।

তিনি বলেন, স্কুলগুলোতে যেহেতু বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি, সেহেতু সরকারিভাবে আমরা এ বছর লটারির মাধ্যমে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এ প্রক্রিয়ায় বেসরকারি স্কুলগুলো এবং সম্প্রতি জাতীয়করণ করা অনেক স্কুল স্থানীয়ভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করে ভর্তির কাজ লটারির মাধ্যমে সম্পন্ন করছে।

আর ৩৯০টি সরকারি স্কুলে ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৯২৯ জন আবেদনকারী ভর্তিচ্ছুর মধ্য থেকে সারাদেশে মোট ৭৭ হাজার ১৪০টি শূন্য আসনের বিপরীতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি নির্বাচন করার জন্য লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ডিজিটাল এ লটারির সার্বিক কারিগরি সহায়তার কাজ করেছে টেলিটক এবং টেলিটকের সফটওয়্যারের যথার্থতা যাচাই-বাছাই করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। শিক্ষামন্ত্রী তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভর্তির কার্যক্রম করায় এবার ভর্তিতে কোনো স্বজনপ্রীতি, বিশেষ সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই।

টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে মাধ্যমিকের ভর্তি লটারি করা হয়েছে। টেলিটকের তৈরি একটি আধুনিক সফটওয়্যারের মাধ্যমে লটারিতে কোনো অভিযোগ আসবে না বলে আমি মনে করি, বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

এনএম/জেডএস