ফাইল ছবি

সরকারি স্কুলে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত প্রথম তালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হচ্ছে আজ বুধবার বিকেল পাঁচটায়। এ সময়ের মধ্যে যারা ভর্তি হবে না, পরে তাদের জন্য আর সুযোগ থাকছে না।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যমতে, ১৯ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) পর্যন্ত প্রথম তালিকার প্রায় ৮২ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। আজ শেষ দিন বাকি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগই ভর্তি হবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দিন (মাধ্যমিক) ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রথম ধাপে ভর্তির জন্য আমরা যথেষ্ট সময় দিয়েছি। বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) থেকে অপেক্ষমাণ তালিকার শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে। তাই আজকের মধ্যে যারা ভর্তি হবে না পরে তাদের আর সুযোগ থাকছে না।

গত ১৪ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সরকারি মাধ্যমিক স্কুল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। সে সঙ্গে কোটা ও অন্যান্য সব কাগজ যাচাই করে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তিও শেষ করতে হবে ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে।

ভর্তি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, লটারির ফলাফল অনুযায়ী নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মূল জন্ম নিবন্ধন সনদ, মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা সনদ, সংরক্ষিত কোটা থাকলে সে সংক্রান্ত কাগজ যাচাই করে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে।

এর আগে গত সোমবার (১১ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে লটারি মাধ্যমে সারাদেশের ৩৯০টি স্কুলের ৭৭ হাজার ১৪৪জন শিক্ষার্থীকে বাছাই করা হয়। সে সঙ্গে সম-পরিমাণ অপেক্ষমাণ তালিকাও প্রকাশ করা হয়।

জানা গেছে, এ বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সারাদেশের ৩৯০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে ৯ম শ্রেণির ভর্তিতে মোট ৭৭ হাজার ১৪০টি শূন্য আসনে চাহিদা আসে।

ভর্তি কার্যক্রমের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মাউশির পরিচালক প্রফেসর বেলাল হোসাইন বলেন, ভর্তি নিয়ে নয় ছয় করার কোনো সুযোগ নেই। পুরো ভর্তি কার্যক্রমটি আমরা অনলাইনে নজরদারি করছি। কোন স্কুলে কত আসনের বিপরীতে কতজন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে, কতজন বাকি আছে, মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী কোটাসহ অন্যান্য কোটা মানা হচ্ছে কি-না সেগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে নজরদারি  করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ভর্তিতে অতিরিক্ত ফি নেওয়া হচ্ছে কি-না বা অন্যান্য ফি বেশি নেওয়া হচ্ছে কি-না তাও মনিটরিং হচ্ছে।

এনএম/এমএইচএস