এখনো সিদ্ধান্ত আসেনি ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার বিষয়ে। এই নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি সংশোধনের সিদ্ধান্ত হলেও তা এখনো শুরু হয়নি। গত বছরের মে মাসে এই নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

ইতোমধ্যে নিবন্ধিত হতে আবেদন করা ১১ লাখের বেশি প্রার্থী আছেন পরীক্ষার অপেক্ষায়। আর গ্রন্থাগার শিক্ষক ও প্রভাষক পদে নিয়োগপ্রত্যাশীরা অপেক্ষায় আছেন কবে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের সংশোধন করা বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।

গত বছরের ১৫ ও ১৬ মে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি ও ৭, ৮ আগস্ট লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। করোনার কারণে ওই বছরের ২৬ এপ্রিল সেগুলো স্থগিত করা হয়। এ নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছিলেন ১১ লাখ ৭২ হাজার প্রার্থী।

এদিকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ও গ্রন্থাগার প্রভাষক পদে নিয়োগ সুপারিশের দায়িত্ব এনটিআরসিএকে দেওয়া হয়েছে। এনটিআরসিএকে দেওয়া এক নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার অংশ হিসেবে এ দুটি পদে এনটিআরসিএ সিলেবাস প্রণয়নসহ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও উত্তীর্ণদের সনদ দেওয়াসহ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চাহিদার ভিত্তিতে এ পদগুলোতে নিয়োগ সুপারিশ করতে হবে।

এনটিআরসিএর পরীক্ষা শাখার কর্মকর্তারা জানান, ১৭তম পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ও গ্রন্থাগার প্রভাষক পদে নিবন্ধন পরীক্ষার সিলেবাস দেওয়া হয়েছে। অনুমোদনের পর নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি সংশোধনের কাজ শুরু হবে।

এদিকে এনটিআরসিএর পাঠ্যসূচি প্রণয়ন শাখার উপ-পরিচালক মো. রুহুল কুদ্দুস চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর সিলেবাস প্রকাশ করা হবে। সিলেবাস অনুমোদনের পর বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে জারি করা হবে। এরপর এসব পদে নিবন্ধনের আবেদন নেওয়া হবে।

২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেদিন বিকেল ৪টা থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছিল। এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আগ্রহী প্রার্থীরা সে বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করতে পেরেছেন।

এমএইচএস