বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য আগামী মার্চ মাসের শেষের দিকে শুরু হবে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির কাজ। এপ্রিলে প্রকাশ হবে ওই গণবিজ্ঞপ্তি। রোববার দুপুরে মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান।

তিনি বলেন, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির কিছু কাজ এখনও বাকি রয়ে গেছে। ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা যোগ দেবেন। এরপর শূন্যপদ পূরণে দ্বিতীয় মেধাতালিকা দেব আমরা। মার্চ মাসের শেষদিকে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির কাজ শুরু করব। কাজ শেষে এপ্রিলে তা প্রকাশ করা হবে।

এর আগে, রোববার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ই-রিকুইজিশনের মাধ্যমে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন নিয়োগ প্রত্যাশীরা। এরপর দুপুর একটার পর তারা যান ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় অবস্থিত এনটিআরসিএ অফিসের সামনে। সেখান থেকে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দলকে ডেকে পাঠায় এনটিআরসিএ। 

এ বিষয়ে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী এম এ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মার্চের মধ্যে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির কাজ শুরু করে এপ্রিলের মধ্যে তা প্রকাশ করা হবে বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।

সম্প্রতি চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনকারীরা।

বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীদের অধিকাংশই ইনডেক্সধারী হওয়ায় এবং নারী কোটা ও অন্য ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থী না থাকায় ১৫ হাজার ৩২৫টি পদ ফাঁকা রয়ে যায়। 

এ অবস্থায় শিক্ষক সংকট দূর করতেই বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে এনটিআরসিএ। তবে দাবি উঠেছে, ই-রিকুইজিশন নিয়ে সমন্বয় করে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হোক। এতে শূন্যপদ পূরণ সম্ভব হবে।

এএজে/আরএইচ