‘চ্যাম্প’ সিনেমায় দেবের কোচের ভূমিকায় তার অভিনয় এখনো দর্শক মনে গেঁথে রয়েছে। বাংলার আরও একটি স্পোর্টস ফিল্মে কোচের ভূমিকায় অভিনয় করছেন চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। এ মুহূর্তে শহরে গ্র্যান্ডমাস্টার সূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায়ের বায়োপিক ‘দাবাড়ু’র শুটিং চলছে। পথিকৃৎ বসু পরিচালিত সিনেমাটিতে সূর্যশেখরের কোচের ভূমিকায় অভিনয় করছেন চিরঞ্জিৎ। মজার ব্যাপার হলো— এ সিনেমায় অভিনয়ের আগে দাবার চাল সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞানই ছিল না তার। 

বুধবার (৮ আগস্ট) উত্তর কলকাতায় হেদুয়ার রাস্তায় কিছু দৃশ্যের শুটিং ছিল। সিনেমায় তার চরিত্রের নাম রথীন্দ্র। 

এ ধরনের একটা চরিত্র তিনি যে উপভোগ করছেন তা চিরঞ্জিতের বক্তব্যে ধরা পড়ে। চোখে লাল ফ্রেমের চশমা এবং গালে হালকা দাড়িতে তার লুকটি মন্দ নয়। ছেলেবেলায় দাবা নিয়ে কতটা উৎসাহী ছিলেন চিরঞ্জিৎ? প্রশ্ন শুনেই হেসে বললেন, খুব বেশি নয়। একটু আধটু খেলেছি। কিন্তু সিনেমার জন্য নতুন করে দাবার চাল এবং ব্যাকরণ সবই শিখতে হয়েছে।

যেকোনো সফল ক্রীড়াবিদের নেপথ্যে কোচের ভূমিকাকে এ চরিত্রের মাধ্যমে সম্মান জানাতে চান চিরঞ্জিৎ। সূর্যশেখরের জার্নি তার কাছের মানুষরা জানেন। স্পনসর জোগাড় করতে কোচকে কতটা কাঠখড় পোড়াতে হয় সেই প্রসঙ্গটিও সিনেমায় তুলে ধরা হবে বলে জানালেন তিনি। বলেন, সিনেমায় আমার মুখে একটা সংলাপই আছে যে বিদেশে খেলোয়াড়ের স্ট্রাগলের দিনে পাশে দাঁড়ায় সরকার। আমাদের দেশে খেলোয়াড় নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পর তার পর সরকার তার পাশে দাঁড়ায়!

সিনেমায় সূর্যের আরও এক কোচের ভূমিকায় অভিনয় করছেন কৌশিক সেন। দুই কোচের সম্পর্ক কী রকম? না, এখনই বিষয়টা খোলসা করতে চাইলেন না চিরঞ্জিৎ। বলেন, সূর্যর পাশাপাশি আমার চরিত্রটার মধ্যেও অনেকগুলো স্তর রয়েছে। গল্পে অনেক বাঁক রয়েছে। এখনই সেগুলো বলে দিলে সিনেমার ক্ষতি হবে।

হেদুয়া, টাউনহল-সহ আপাতত কোলকাতার বিভিন্ন লোকেশনে শুটিং সারছে ইউনিট। চিরঞ্জিতের অবশ্য আর একদিনের শুটিংই বাকি। সিনেমার অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, শঙ্কর চক্রবর্তী ও অর্ঘ্য বসু রায়। 

‘দাবাড়ু’র মাধ্যমে বাংলা সিনেমায় তথাকথিত প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকা খেলা নিয়েও ভবিষ্যতে সিনেমা তৈরি হবে বলেও আশাবাদী চিরঞ্জিৎ।

কেএ