২০২০ ছিল নেটফ্লিক্সের সেরা বছর। এছর বেশ কয়েকটি সিনেমা ব্যবসাসফল ও দর্শকনন্দিত হয়েছে। তাদের ইতিহাসে সর্ব্বোচ্চ লভ্যাংশ উঠিয়েছে মহামারি করোনা বছরে। জেনে নেয়া যাক ২০২০ সালের নেটফ্লিক্সের সেরা ১০ ছবি সম্পর্কে-

দ্য ট্রায়াল অব দ্য শিকাগো সেভেন 

‘দ্য ট্রায়াল অব শিকাগো সেভেন’

ষাটের দশকে ভিয়েতনামের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে আমেরিকা। ভিয়েতনাম বিরোধীদের সঙ্গে শিকাগো পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ৩৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের প্রশাসন আট জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। যারা সেই সংঘর্ষে জড়ান। সেই মামলাটি ‘দ্য ট্রায়াল অব শিকাগো সেভেন’ নামে বিখ্যাত হয়ে আছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত সিনেমাটি। পরিচালনা করেছেন অরুন সরকিন। সিনেমাটিতে ব্যয় হয়েছে ৩৫ মিলিয়ন ডলার। আইএমডিবি রেটিং ৭.৮। 

দ্য ওল্ড গার্ড 

দ্য ওল্ড গার্ড 

গিনা প্রিন্স বাইদউড পরিচালিত ‘দ্য ওল্ড গার্ড’ মুক্তি পায় ১০ সেপ্টেম্বর রাশিয়ায়। ইমেজ কমিকসের জনপ্রিয় সিরিজ ‘দ্য ওল্ড গার্ড’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। একদল অমর যোদ্ধাকে নিয়ে এই কাহিনী গড়ে উঠেছে। যেকোনো আঘাত থেকে দ্রুত সেরে ওঠার অতিমানবীয় ক্ষমতার অধিকারী এই দলের চারজন সদস্য যেকোনো আঘাত থেকে দ্রুত মুক্ত হতে পারে। এই চারজন হঠাৎ আবিষ্কার করে আরেকজন অমরত্বকে। অমরত্বের রহস্য জানতে তাঁদের পিছনে রয়েছে অজানা শত্রু। এমন ঘটনায় নির্মিত সিনেমাটি। আইএমডিবি রেটিং ৬.৬। 

ম্যাংক 

ম্যাংক 

যুক্তরাষ্ট্রে ১৩ নভেম্বর ডেভিড ফিঞ্চার পরিচালিত ‘ম্যাংক’ মুক্তি পায়। ছয় বছর বিরতির নতুন সিনেমা মুক্তি পায় এই বিখ্যাত এই পরিচালক। ‘সিটিজেন কেইন’ সিনেমা ‍নির্মাণের ঘটনা নিয়ে আত্মজীবনীমূলক সিনেমা ‘ম্যাংক’। চিত্রনাট্য লিখেছেন জ্যাক ফিঞ্চার। ১৯৪১ সালে মুক্তি পায় ‘সিটিজেন কেইন’ নির্মাণ করেন অরসন ওয়েলস। ইএমডিবি রেটিং ৭.১।

আই অ্যাম থিংকিং অব এনডিং থিংস 

আই অ্যাম থিংকিং অব এনডিং থিংস 

মার্কিন সাইকো থ্রিলার সিনেমা এটি। পরিচালক শার্লি কাউফম্যানের পরিচালনায় সিনেমাটি মুক্তি পায় ৪ সেপ্টেম্বর। ২০১৬ সালে প্রকাশ হওয়া ‘আই অ্যাম থিংকিং অব এনডিং থিংস’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ হয়েছে এই সিনেমা। চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক নিজেই। সিনেমাটোগ্রাফিতে ছিলেন লুকসাজ জাল। আইএমডিবি রেটিং ৬.৬। 

দ্য সোশ্যাল ডিলেমা 

আই অ্যাম থিংকিং অব এনডিং থিংস 

জেফ অর্লস্কি পরিচালিত ‘দ্য সোশ্যাল ডিলেমা’ মুক্তি পায় ২৬ জানুয়ারি। নেটফ্লিক্সের ডকুমেন্টারি সিনেমা এটি। প্রযোজনা করেন ল্যারিসা রোডস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের কতটা গ্রাস করছে। তা দেখা যাবে এই ডকুফিল্মে। মানুষের মনস্তাত্বিক অবস্থা সবসময় নজর রাখে ফেসবুক। ব্যবহারকারীকে অ্যাপে কয়েক ঘণ্টা ধরে রাখতে পারলে, অনেক বিজ্ঞাপন দেখানো যায়। আর এই বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য প্রত্যেকের নিউজফিড সাজানো হয় আলাদাভাবে। এই বিষয়গুলো দেখানো হয়েছে এই সিনেমায়। এতে অভিনয় করেন জেফ অর্লস্কি, ভিকি কার্টিস, ডাভিস কুম্বি। আইএমডিবি ৭.৭। 

ইউরোভিশন সং কনটেস্ট: দ্য স্টোরি অব ফায়ার সাগা 

ইউরোভিশন সং কনটেস্ট: দ্য স্টোরি অব ফায়ার সাগা 

মার্কিন মিউজিক্যাল কমেডি সিনেমা এটি। পরিচালনা করেছেন ডেভিড ডবকিন। আইসল্যান্ডের দুজন সঙ্গীতশিল্পী সুযোগ পান ইউরোভিশন সং কনটেস্টে অংশ নেয়ার। যেখানে তাদের দেশকে তুলে ধরেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই সিনেমা। সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন আটলি অর্ভার্সসন। অভিনয় করেছেন উইল ফেরেল, অ্যান্ড্রু স্টিল। আইএমডিবি রেটিং ৬.৫। 

ক্রিপ ক্যাম্প: আ ডিসঅ্যাবিলিটি রেভল্যুশন 

ক্রিপ ক্যাম্প: আ ডিসঅ্যাবিলিটি রেভল্যুশন 

জেমস লেবরেক্ট ও নিচলে নেওয়ানহাম পরিচালিত সিনেমাটি মুক্তি পায় ২৩ জানুয়ারি। সিনেমাটির নির্বাহি প্রযোজক ছিলেন বারেক ওবামা ও মিশেল ওবামা। তাদের হায়ার গ্রাউন্ড প্রোডাকশন থেকে প্রযোজনা করা হয়। অভিনয়ে ছিলেন জেমস লেবরেক্ট, নিচোলে নেওয়ানহাম। প্রযোজনায় ছিলেন জেমস লেবরেক্ট, নিচোলে নেওয়ানহাম ও সারা বোল্ডার। আইডিএমবি রেটিং ৭.৮। 

ইনোলা হোমস 

ইনোলা হোমস

শার্লক হোমসের বোন ইনোলা হোমস। ইনোলার জীবনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। সঙ্গে মা ও বিখ্যাত গোয়েন্দা ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্কটাও সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে। একসময় ইনোলার মা হারিয়ে যায়। ভাই শার্লক ও মাইক্রফ্ট বোনকে বলে এসব না ভেবে স্কুলে ফিরে গিয়ে পড়াশুনা শেষ করতে, যাতে ইনোলা সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারে। কিন্তু তাতে তার মন সায় দেয় না। বরং মাকে খুঁজতেই তৎপর হন তিনি। এমন গল্পে নির্মিত সিনেমাটি। হ্যারি ব্র্যাডবির পরিচালিত ‘ইনোলা হোমস’। মুক্তি পায় ২৩ সেপ্টেম্বর। নির্মাণ করেন ন্যান্সি স্প্রিংগার। প্রযোজনা করেন মিলি ববি ব্রাউন, প্যাগি ব্রাউন, ম্যারি প্যারেন্ট, আলি মেন্ডেস, অ্যালেক্স গার্সিয়া। আইএমডিবি রেটিং ৬.৬/১০। 

দ্য হাফ অব ইট 

দ্য হাফ অব ইট

অ্যালিস য়ু পরিচালিত ‘দ্য হাফ অব ইট’ মুক্তি পায় ১ মে। শহর থেকে দূরে বাস করে এলি চু। বাবার সঙ্গে থাকেন সেখানে। তার স্কুলের শিক্ষার্থীদের হোমওয়ার্ক তৈরি করে দিয়ে অর্থ উপার্জন করে এলি। বন্ধুহীন এলিকে নিয়ে নির্মিত এই সিনেমা। পরিচালক অ্যালিস য়ু নিজেও অভিনয় করেন সিনেমাটিতে। প্রযোজনায় ছিলেন অ্যালিস য়ু এবং অ্যান্থনি ব্রেগম্যান। আইএমডিবি রেটিং ৬.৯। 

দ্য ফাইভ ব্লাডস 

দ্য ফাইভ ব্লাডস 

ভিয়েতনাম যুদ্ধ নিয়ে তৈরি সিনেমা ‌‘দ্য ফাইভ ব্লাডস’। ভিয়েতনাম যুদ্ধে দেশটির মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন দেলরয় লিন্ডো, ক্লার্ক পিটারস, নর্ম লিউইস, ইসিয়াহ হুইটলক জুনিয়র ও চাদউইক বোসম্যান। পরিচালনা করেছেন স্পাইক লি। আইএমডিবি রেটিং ৬.৫।

এমআরএম/এইচএকে