বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘মুক্তির কথা বিজয়ের গান’
বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘মুক্তির কথা বিজয়ের গান’। অনুষ্ঠানটি নির্দেশনা দিয়েছেন বরেণ্য নির্মাতা হানিফ সংকেত। উপস্থাপনা করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রত্রী। ১৯৭১ সালের ১৩ই জুন মুক্তিযুদ্ধের সময় সৈয়দপুরে সংগঠিত হয়েছিলো নির্মম ও বর্বর হত্যাকাণ্ড। যা ‘গোলাহাট গণহত্যা’ নামে পরিচিত।
যে অপারেশনে নারী-পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাসহ প্রায় সাড়ে চারশো মানুষকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে এবং বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ট্রেনে সংগঠিত সেই মর্মান্তিক ট্রেন ট্রাজেডির উপর এবারের অনুষ্ঠানে রয়েছে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন।
বিজ্ঞাপন
রয়েছে মৌলভীবাজারের মুক্তিযুদ্ধের তথ্যচিত্র ও স্মারক সংগ্রাহক বিকুল চক্রবর্তী’র উপর একটি প্রতিবেদন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে যিনি প্রকৃত দেশপ্রেম, দেশ গড়ার আদর্শ, ইতিহাসের সঠিক তথ্য আহরণ এবং নুতন প্রজন্মের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে এ পর্যন্ত ৫১টিরও বেশি মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র ও স্মারক প্রদর্শণীর আয়োজন করেছেন।
রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা প্রেমিক, নরসুন্দর গোপাল চন্দ্র শীলের উপর একটি অনুকরণীয় প্রতিবেদন। এই পেশার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দীর্ঘ ২৫ বছরে যিনি কখনোই মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে কোন অর্থ নেননি। বিনে পয়সায় মুক্তিযোদ্ধাদের চুল কেটে দিয়েছেন এবং এখনও কাটছেন।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও ভিন্ন আঙ্গিকের এই অনুষ্ঠানটিতে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে গর্বিত বিজয় নিয়ে রয়েছে তিনটি দেশাত্মবোধক গান। ব্যাপক আয়োজনে নির্মিত গানগুলিতে অংশগ্রহণ করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় সঙ্গীত তারকারা।
গীতিকবি মনিরুজ্জামান পলাশ এর কথায় একটি গানে সুর ও কণ্ঠ দিয়েছেন শিল্পী রবি চৌধুরী। আপেল মাহমুদের কথা ও সুরে স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণাদায়ক গান ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেব রে’ নতুন সঙ্গীতায়োজনে পরিবেশন করেছেন বাপ্পা মজুমদার ও তার ব্যান্ড দলছুট। আর একটি গান গেয়েছেন শিল্পী এস আই টুটুল। গানটির কথা লিখেছেন লিটন ঘোষ জয়, সুর করেছেন শিল্পী নিজেই।
ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন লোকেশানে গানগুলোর নান্দনিক চিত্রায়ন করা হয়। অনুষ্ঠানটি ১৬ ডিসেম্বর (বুধবার) রাত ৮ টায় প্রচারিত হবে এটিএন বাংলায়।
এমআরএম