ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান। এক দশকের বেশি সময় ধরে অভিনয় করছেন। সমসাময়িক অনেকের চেয়ে দর্শকদের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা বেশি। তাই কাজের ব্যস্ততা তাকে ঘিরে রাখে প্রতিনিয়ত। গত ঈদেও বেশ কিছু নাটকে দেখা গেছে তাকে। সেই নাটক এবং ক্যারিয়ারের গতিবিধি নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকা পোস্ট-এর সঙ্গে। লিখেছেন কামরুল ইসলাম

গেল ঈদে কতগুলো নাটকে কাজ করেছেন? কোনটির জন্য বেশি সাড়া পেয়েছেন?

সব মিলিয়ে ১২ থেকে ১৪টি হবে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি নাটকের জন্যই দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছি। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই বলব প্রবীর রায় চৌধুরী পরিচালিত ‘বাবা তোমাকে ভালোবাসি’ নাটকের কথা। এটা দেখে অনেকেই প্রশংসা করেছেন, বাহবা দিয়েছেন। আবার মাবরুর রশীদ বান্নাহর ‘মায়ের ডাক’ থেকেও দারুণ সাড়া পেয়েছি। দুটি নাটকই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়েছে। এছাড়া কিছু ট্রেন্ডি কাজও করেছি। যেমন ‘আমার বাপের অনেক টাকা’। পুরান ঢাকার আবহে এই গল্পটা সাজানো। দর্শকরা মজা পেয়েছেন কাজটি দেখে।

‘বাবা তোমাকে ভালোবাসি’তে তিনজন কিংবদন্তির সঙ্গে অভিনয় করেছেন। অভিজ্ঞতা কেমন?

একসঙ্গে তিনজন কিংবদন্তির সঙ্গে অভিনয় করতে পারা আসলেই সৌভাগ্যের ব্যাপার। তাদের সঙ্গে পর্দা ভাগাভাগি করতে পেরে আমি ধন্য। এই কাজটি করতে গিয়ে অনেক কিছু শিখেছি, তাদেরকে কাছ থেকে দেখে অনুপ্রাণিত এবং উৎসাহিত হয়েছি। এই অভিজ্ঞতা আমি কখনোই ভুলব না। আবার তাদেরকে একসঙ্গে এক পর্দায় নিয়ে আসাও বড় ব্যাপার। এজন্য আমি পরিচালক প্রবীর রায় চৌধুরীকে ধন্যবাদ দিতে চাই।

আপনার প্রতি দর্শকদের আস্থা বজায় রাখেন কীভাবে?

এটা আসলে আল্লাহ্‌র রহমত। আর আমার মায়ের দোয়া আছে। এ কারণেই সম্ভব হয়েছে। আমি চেষ্টা করি সাবলীল অভিনয় করার। অভিনয়কে অতিরঞ্জিত করি না। এটা অনেক ক্ষেত্রে কাজে দেয়, আবার অনেক ক্ষেত্রে দেয় না। এমন না যে, আমি শতভাগ সফল। আমি মনে করি, আমি ৫০ ভাগ সফল, আর বাকিটা এখনো প্রচেষ্টাধীন। তবে যেটুকু সফল হয়েছি, সেটা আমার মায়ের দোয়া আর আল্লাহ্‌র রহমতে।

অভিনয়প্রধান কাজে আপনি বরাবরই প্রশংসিত। এরপরও এই ধরণের নাটকে আপনাকে কম দেখা যায় কেন?

এর প্রথম কারণ দর্শক। এখনকার দর্শকেরা একটু ট্রেন্ডি, হাস্যরসাত্মক ও রোম্যান্টিক গল্প দেখতে পছন্দ করেন। এজন্য প্রযোজক এবং চ্যানেল থেকেও একটা চাপ আছে। সে কারণেই এই ধরনের কাজ বেশি হয়ে যায়। তবে এবারের ঈদে ভালো গল্প এবং অভিনয়প্রধান কাজের দর্শক বেড়েছে। তাই আশা করছি, সামনে গল্পনির্ভর কাজ বেশি করতে পারব।

ওটিটি প্ল্যাটফর্মের বেশ কিছু কাজ করেছেন। এ মাধ্যম নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ?

ওটিটি নিয়ে আমার ভাবনা এখনো পর্যন্ত তেমন ইতিবাচক না। এখানে দর্শকদের সঙ্গে সহজে যুক্ত হওয়া যায় না। ইউটিউবে দর্শকরা যত সহজে একটা নাটক দেখতে পারেন, সেটা কিন্তু ওটিটিতে সম্ভব হয় না। তাদের মন্তব্য, প্রতিক্রিয়াও দেখার সুযোগ নেই। এই দিকটা আমার কাছে নেগেটিভ লাগে। তবে এসব কনটেন্টের বাজেট বেশি থাকে, ভালো গল্প নিয়ে ধীরেসুস্থে কাজ করা যায়, সেই দিকটা ইতিবাচক মনে হয়।

কেআই/আরআইজে