রূপ-লাবণ্য আর অভিনয়ের দক্ষতায় জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। একটা সময় নাটকের পর্দায় নিয়মিত ছিলেন। কাজ করেছিলেন বহু দর্শকপ্রিয় নাটকে। তবে ২০১৪ সালে স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর অনেকটাই এলোমেলো হয়ে যায় তার জীবন। এরপর একমাত্র সন্তান সায়রাকে নিয়ে শুরু হয় বাঁধনের অদম্য সংগ্রামের গল্প।

ব্যক্তিগত জীবনের সেই ধাক্কা সামলে উঠেছেন বাঁধন। আগের চেয়ে আরও বেশি আকর্ষণীয় ও গ্ল্যামারাস করে নিজেকে মেলে ধরেছেন। শুধু তাই নয়, কাজের ক্ষেত্রেও পেয়েছেন অসামান্য সাফল্য। সম্প্রতি তার অভিনীত সিনেমা ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ কান উৎসবে ভূয়সী প্রশংসা লাভ করেছে। যার সুবাদে গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে চর্চার শেষ নেই।

এদিকে শুক্রবার (১৩ আগস্ট) ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘হইচই’তে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বাঁধন অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি’। সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত এই সিরিজের কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে কলকাতার একটি ম্যাগাজিনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বাঁধন। সেখানে তিনি কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কথা বলেছেন।

বাঁধনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তার স্বপ্ন কী? জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি আসলে স্বপ্ন দেখতে পারি না। ছোটবেলা থেকে আমি যে স্বপ্নগুলো দেখেছি, তার কোনোটাই আমার ছিল না। আমার পরিবার, আমাদের সমাজ আমাকে সেই স্বপ্নগুলো দেখতে বাধ্য করেছে। ফলে স্বাধীনভাবে স্বপ্ন দেখার অভ্যাসটা কখনো তৈরি হয়নি আমার। নতুন করে এই অভ্যেসটা তৈরি করা যায় না।’

স্বাধীনচেতা বাঁধন তাহলে কী হতে চান? সেটাও বলেছেন। বাঁধনের ভাষ্য, ‘আমি মানুষ হতে চাই। মানুষ হিসেবে নিজের সম্পূর্ণ অধিকার চাই। সমাজের তথাকথিত আদর্শ নারী হয়ে থাকতে চাই না। ওভাবে মরতে চাই না।’

প্রসঙ্গত, ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি’ সিরিজটি নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশের লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের উপন্যাস অবলম্বনে। রহস্য-থ্রিলার গল্পের এই সিরিজে বাঁধন ছাড়াও আছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, রাহুল বোস, অনির্বাণ চক্রবর্তী, অঞ্জন দত্ত প্রমুখ।

কেআই/আরআইজে