শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস থেকে রাখিবন্ধন উৎসবের ছোট একটি ভিডিও প্রকাশ করা হলো। সেখানে অভিনেত্রী ঋদ্ধিমা ঘোষ এবং অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী বোন-ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কিন্তু বাস্তবে তারা দেবর এবং বৌদি। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘রামের সুমতি’ থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নষ্টনীড়’— একাধিক লেখকের হাতে এই সম্পর্কের নানা দিক উঠে এসেছে। অর্জুন এবং ঋদ্ধিমার সম্পর্ক কেমন? রোববার (২২ আগস্ট) রাখির দিনে সেই গল্পই করলেন অভিনেতা গৌরব চক্রবর্তীর স্ত্রী।

গৌরব এবং ঋদ্ধিমার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হওয়ার আগে অর্জুনের সঙ্গে ততটা আলাপ ছিল না ঋদ্ধিমার। তারপর থেকেই তারা খুব ভালো বন্ধু। বয়সের ব্যবধান খুব বেশি নয় বলে একে অপরের সঙ্গে খুব সহজেই মিশেছেন দুই শিল্পী। গৌরব-ঋদ্ধিমার বিয়ের পরও তাদের মধ্যে প্রথাগত দেবর-বৌদির সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। তার কারণ দুজন খুব ভালো বন্ধু। কিন্তু যাই হোক, তারা একই পরিবারের সদস্য। আর সেই সম্পর্কটি মাঝে মধ্যে দিদি-ভাইয়ের সমীকরণ তৈরি করে দেয় অজান্তেই।

ঋদ্ধিমা বলেন, সম্প্রতি আমি আর অর্জুন একটি কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলাম। আউটডোর শুট চলছিল। সেখানে গিয়ে বুঝলাম, সত্যিই আমরা একটাই পরিবার। নিজের অজান্তেই আমি অর্জুনের খাবার-দাবারের খেয়াল রাখছিলাম। অর্জুনও আমার দেখাশোনা করছিল। সেটা খুবই সুন্দর।

অর্জুনের সঙ্গে ঋদ্ধিমার অনেক মিল। পুরো পরিবারে তারাই সবচেয়ে বেশি দুষ্ট। ঋদ্ধিমার কথায়, গৌরবের সঙ্গে আমার ঝগড়া হলে অর্জুন আর আমি গৌরবের পেছনে লাগি। তাতে ও আরও রেগে যায়। কিন্তু আমরা কেউ থামি না। তবে আমি, অর্জুন আর গৌরব কিছু মানুষকে নিয়ে মজা করি, আর সেই মশকরাগুলোর অর্থ কেউ বোঝে না। ধরা যাক, যাকে নিয়ে আমরা মজা করছি তিনি আমাদের সামনে উপস্থিত। সেই সময়ে আমাদের তিন জনের মধ্যে চোখাচোখি হতে থাকে। সেই ইঙ্গিতগুলো কেউ বোঝে না। আমরাই জানি কেবল।

মাঝে মধ্যে ঋদ্ধিমাকে রাগিয়ে দেওয়ার জন্য অর্জুন তাকে ‘বৌদি’ বলে ডাকেন। ঋদ্ধিমা বলন, আমি প্রচণ্ড রেগে যাই আমাকে ‘বৌদি’ বললে। জানে আমি রেগে যাব, তাই বারণ করলেও ইচ্ছে করে ওই নামে ডাকে। মূলত আমাকে আমার ভালো নামেই ডাকে অর্জুন।

দেবরের সঙ্গে পর্দায় প্রেম করেছেন ঋদ্ধিমা। সুদেষ্ণা রায় এবং অভিজিৎ গুহ পরিচালিত ছবি ‘আকাশছোঁয়া’-তে একে অপরের বিপরীতে কাজ করেছেন তারা। কোনো অস্বস্তি হয়নি অভিনেত্রীর? ঋদ্ধিমা জানালেন, তাদের পেশা অভিনয়, তাই তিনি ওইভাবে কোনো দিন ভাবেননি যে দেবরের সঙ্গে প্রেম করতে হচ্ছে। তাই অস্বস্তিও হয়নি কখনও।

সূত্র: আনন্দবাজার

এসএসএইচ