নিন্দুকরা মনে করছিল শাহরুখ খানের দিন শেষ। তার সিনেমা জিরো বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ার পর শাহরুখ নিজেও মনে করেছিলেন হয় তো অভিনয় ছেড়ে অন্য কিছু করবেন। তবে যে অভিনয়ই তাকে বলিউডের বাদশা বানিয়েছে, সেটাকে ছাড়বেন কি করে?

চার বছর পর পর্দায় পাঠান হয়ে কামব্যাক করলেন তিনি। ছবি মুক্তির আগে থেকে ‘পাঠান’ নিয়ে বিতর্কের জল আরব সাগর তীর থেকে গোটা দুনিয়ায়। শাহরুখ চুপ থাকলেন। তার বদলে জবাব দিলেন বক্স অফিসে হাত ধরে। পাঠান মুক্তির দিন থেকেই নানা বক্স অফিস রেকর্ড ভেঙে হাজার কোটির ক্লাবে। অন্ধকার সরিয়ে শাহরুখ হয়ে উঠলেন সদা জলন্ত সূর্য। সব বিতর্ককে পিছনে ফেলে পাঠানের উজ্জ্বল আলো গোটা বিশ্বে।

হ্যাঁ, ঠিক এ ভাষাতেই শাহরুখ টুইটারে জানালেন, ‌‘সূর্য একাই জ্বলে ওঠে। আঁধার কাটিয়ে ফের জ্বলে ওঠে। ধন্যবাদ সবাইকে পাঠানকে উজ্জ্বল করে তোলার জন্য।’

প্রসঙ্গত, বিশেষজ্ঞ তরন আদর্শ টুইটারে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তুলনামূলক ভাবে সোমবারের কালেকশন কম মনে হলেও আসলে ছবির টিকিটের মূল্য কমানোর সিদ্ধান্তের কারণেই টিকিট বিক্রির অঙ্কটা কমেছে। এছাড়া, ছবিটির তেলুগু ও তামিল সংস্করণটি থেকে সোমবার ৩০ লাখ টাকা উপার্জন হয়েছে বলে জানাচ্ছেন আদর্শ। যার ফলে ওই দুই ভাষার সংস্করণ থেকে ‘পাঠান’ ছবির আয় পৌঁছে গেল ১৫.৭০ কোটি টাকায়। সেটা যোগ করলে এখনও পর্যন্ত দেশীয় বাজার থেকে শাহরুখের ব্লকবাস্টার ছবিটির আয় ৪৩৮.৪৫ কোটি টাকা।

‘কেজিএফ- চ্যাপ্টার ২’-এর হিন্দি সংস্করণের রোজগার ৪৩৪.৭০ কোটি। সম্ভবত আর দু-একদিনের মধ্যেই সেই রেকর্ড ভেঙে দেবে ‘পাঠান’। তবে এখনও শাহরুখের ছবির থেকে বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছে ‘বাহুবলী- দ্য কনক্লুশন’ (৫১১ কোটি)। কিন্তু ট্রেন্ড যা, তাতে সেই রেকর্ডও সুরক্ষিত দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে এতদিন পর্যন্ত এদেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করা বলিউডের ছবি ছিল ‘দঙ্গল’। ৩৮৭.৩৮ কোটি টাকা ছিল আমির খানের ব্লকবাস্টার ছবির ব্যবসা। তালিকায় এর পরেই ছিল ‘সঞ্জু’ ও ‘ওয়ার’। ভারতে ওই ছবি দু’টির উপার্জন ছিল যথাক্রমে ৩৪২.৫৩ কোটি ও ৩১৮ কোটি টাকা। ইতোমধ্যেই তাদের পেছনে ফেলে প্রথম বলিউড ছবি হিসেবে দেশের রোজগারের নিরিখে চারশ কোটির ক্লাবে পৌঁছেছে ‘পাঠান’। যত সময় যাবে ততই আরও নতুন নতুন নজির গড়বে শাহরুখ-দীপিকা-জনের এই ছবি।

ওএফ