সম্প্রতি বাগদান সেরেছেন বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া ও আম আদমি পার্টির নেতা রাঘব চাড্ডা। এ খবরে এখনো সরগরম নেটপাড়া, তার মধ্যেই এলো বিয়ের খবর। গত ১৩ মে দিল্লিতে বাগদান সারেন অভিনেত্রী।

বাগদানের দিন পরিণীতি চোপড়া একটি হালকা পিচ ডিজাইনার স্যুট পরেছিলেন ও রাঘব চাড্ডা একটি আইভরি আচকান স্যুট পরেছিলেন। বাগদানের পর তাদের রোমান্টিক ছবি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। বাগদানের পর, এবার বিয়ের পরিকল্পনা শুরু করেছেন পরিণীতি-রাঘব।

কিছু দিন আগেই পরিণীতি বোন প্রিয়াঙ্কাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে জানিয়েছিলেন যে, খুব শিগগিরই ব্রাইডস মেডের কাজ করতে হবে তাকে। এবার শোনা যাচ্ছে, তার বোনের মতো পরিণীতিও বিয়ে করবেন রাজস্থানের কোনো এক রাজপ্রাসাদে। শোনা যাচ্ছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে সাত পাকে বাঁধা পড়বেন তারা। কোন রাজমহলে বিয়ে করবেন পরিণীতি, তার খোঁজেই শনিবার রাজস্থানের উদয়পুরে যান অভিনেত্রী। উদয়পুরের কিষানগড়ে গেছেন তিনি। যদিও উদয়পুরে তিনি একাই গেছেন, তবে শোনা যাচ্ছে খুব শিগগিরই তার সঙ্গে যোগ দেবেন রাঘব।

উদয়পুরের পর জয়পুরও যাওয়ার কথা পরিণীতির। শনিবার উদয়পুরে পৌঁছেই তিনি এয়ারপোর্ট থেকে সোজা যান উদয়বিলাসে। সেখানেই দেখা করেন তার কিছু আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে। তাদের সঙ্গেই লাঞ্চ সারেন পরিণীতি। সেখান থেকেই লীলা প্যালেসে যান অভিনেত্রী। পিচোলা লেকে বোটে চেপে বেশ কিছুক্ষণ পরিদর্শনও করেন তিনি। কোন প্যালেসে বিয়ে করবেন সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে উদয়পুর ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টরের সঙ্গেও কথা বলেন পরিণীতি চোপড়া।

তিনি বলেন, উদয়পুরের আবহাওয়া নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন, বর্ষা কবে শুরু হয়, শীত কবে শুরু হয়। তিনি সেপ্টেম্বরের কথা ভাবছিলেন। আমি বললাম, আমাদের বর্ষা দেরিতে আসছে, তাই সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত বৃষ্টি হবে। সেই সময় তিনি তার পিএর দিকে তাকিয়ে তথ্যটি নোট করে নেন। আমি তাদের নভেম্বর সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছিলাম এবং তার পিএ আবহাওয়া খুব ঠান্ডা হওয়ায় দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। আমি তাকে স্পষ্ট করে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, তার বিয়ের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না এবং তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে, তিনি এখনো পরিকল্পনাহীন এবং একটি পরিকল্পনা তৈরি করার প্রক্রিয়া চলছে।

রাজস্থানেই সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বোনের দেখানো পথেই হাঁটার পরিকল্পনা পরিণীতির। সূত্রের খবর, তাদের বিয়ে হবে পাঞ্জাবি নিয়ম মেনে। পরিবারের সব সদস্য এবং বন্ধুবান্ধবরা উদযাপন করতে আসবেন। আর উৎসবের ফাঁকে অতিথিরা কীভাবে সময় কাটাবেন, সেদিকেও বিশেষ নজর দিচ্ছেন পরিণীতি।

তিনি বলেন, ওই জায়গার হেরিটেজ ভ্যালুর ওপর গুরুত্ব দিয়ে, অতিথিদের ঘুরে বেড়ানোর জন্য এ জায়গার আশপাশের পর্যটন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ছিলেন তিনি। সাক্সেনার মতে, তিনি গোলাপের পাপড়ি ও সংগীতের সঙ্গে অতিথিদের ঐতিহ্যগত অভ্যর্থনা চাইছেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথিদের কেমন করে বরণ করা হবে তা নিয়ে হোটেল তাকে একটা ডেমোও দেওয়া হয়। সে পুরো আইডিয়াটাকে খুব পছন্দ করেন। চিরাচরিত ও ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী অভ্যর্থনা তাকে সত্যিই আবেগপ্রবণ করে তোলে এবং তার হৃদয় স্পর্শ করে। এই সফরে খাবার নিয়েও কথাবার্তা হয় তাদের মধ্যে।

/এসএসএইচ/