বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নিয়ে নাটকীয়তার অন্ত নেই। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে জটিলতা আদালতে গড়িয়েছে। আপাতত পদটির ওপর জারি আছে স্থিতাবস্থা। অর্থাৎ জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তার কাউকেই এ পদে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়নি।

এরপরও শিল্পী সমিতির নানা কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে নিপুণকে। গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে সমিতির স্টাডি রুমে বৈঠক করেছেন সমিতির সদস্যরা। এতে উপস্থিত ছিলেন নিপুণও। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়েছেন জায়েদ খান। সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণসহ ১১ জনকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।  

জায়েদের পক্ষে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন আইনজীবী তানভীর হোসেন খান। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বাধীনতা দিবসে কাঞ্চন ও নিপুণের নেতৃত্বে হওয়া মিটিং অবৈধ। কাঞ্চন ও নিপুণ ছাড়া নোটিশ পাঠানো হয়েছে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক আরমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মামনুন ইমন, কোষাধ্যক্ষ আজাদ খান, কার্যনির্বাহী সদস্য অঞ্জনা, কেয়া, জেসমিন আক্তার, অমিত হাসান ও নাদের খান বরাবর।

নোটিশে বলা হয়েছে, ২৬ মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস ও সরকারি সাধারণ ছুটির দিনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির মিটিং আয়োজন করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য অসৎ। সেইসাথে তা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া রায়েরও লঙ্ঘন করেছে।

২৬ মার্চের মিটিংয়ের কার্যবিরণী বাতিল করতে নোটিশগ্রহীতাদের অনুরোধ করেছেন জায়েদ। সেই সঙ্গে পরবর্তী কোনো মিটিংয়ে নিপুণকে অংশ নেওয়ার সুযোগ না দিতে আহ্বান করেছেন। সেই সঙ্গে আগামী তিনদিনের মধ্যে এ ধরনের কার্যক্রম কেন করা হয়েছে তার লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যতায় আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হবে।

জায়েদের নোটিশের খবর পেয়েছেন সাইমন সাদিক। তবে হাতে পাননি। তিনি বলেছেন, ‘কোনো নোটিশ পাইনি৷ এসব নিয়ে চিন্তাও করছি না। শিল্পীরা দায়িত্ব দিয়েছেন, কাজ করে যেতে চাই। আদালতের কোনো নোটিশ আসলে তখন অবশ্যই বিবেচনা করবো।’

উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এতে সভাপতি নির্বাচিত হন ইলিয়াস কাঞ্চন। সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করেন জায়েদ খান। তবে তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন নিপুণ। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদটি নিয়ে জটিলতা বাড়ে। যা ক্রমান্বয়ে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।

কেআই