কলকাতার নন্দনে বাংলাদেশের ‘হাওয়া’ বইছে। তবে এ হাওয়া খারাপ নয় ঝড়ো। সেই হাওয়ার বেগ এতটাই যে সকাল ৯টা থেকে এসে দাঁড়িয়েও হচ্ছে না লাভ। হাওয়ার দাপটে খাবি খেতে খেতে লাইন ছাড়াচ্ছে শিশির মঞ্চও। মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ মুক্তির পরপরই দর্শকের মাঝে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা যায়। দেশের প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি দেখার জন্য টিকিট সংকটের খবরও শোনা গিয়েছিল। পাশাপাশি দেশের বাইরের প্রেক্ষাগৃহেও অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করে সিনেমাটি দেখেছেন সেখানকার দর্শকেরা।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) থেকে শুরু হলো চতুর্থতম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব। নন্দনে অনুষ্ঠিত এই উৎসবের প্রথম দিনের প্রথম শো-ই চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত সিনেমা ‘হাওয়া’। আর এই হাওয়ার দাপটেই আপাতত মজেছেন বঙ্গবাসী।

আরও পড়ুন : সাদা সাদা কালা কালা 

চলচ্চিত্র উৎসব উপলক্ষে চঞ্চল চৌধুরী এখন কলকাতায় আছেন। সেখান থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নন্দন–১–এর সামনের একটা ভিডিও শেয়ার করেন। সেখানে দেখা যায় সব বয়সের দর্শক সিনেমাটি দেখার জন্য হলের সামনে লাইন ধরে কেউ দাঁড়িয়ে আছেন, কেউ আবার বসে আছেন।

নন্দনের সামনে ‘হাওয়া’ দেখতে লাইনে বসে আছেন কলকাতার দর্শক

সকাল ৯টায় খুলেছে নন্দনের প্রধান গেট। তার আগে থেকেই গেটের বাইরে পড়েছিল লাইন। হাজির সব বয়সী মানুষ। গেট খুলতেই হাওয়ার বেগে দৌড়। কিন্তু দৌড়েই বা কী লাভ! শিশির মঞ্চ ছাড়িয়ে লাইন যে তখন প্রায় এক্সাইড মোড় ছুঁইছুঁই। টালিগঞ্জের বেহাল অবস্থায়, এক বাংলা সিনেমাকে কেন্দ্র করে এত উন্মাদনা হয়েছে শেষ কবে? লাইনের ভিড়েই চলছে এই আলোচনা। ঘড়ির কাঁটা একটা ছুঁতেই যাদের ভাগ্য ভালো কেবল তারাই ঢুকতে পারলেন সিনেমা হলের ভেতর। মুখে ছড়িয়ে পড়ল প্রশান্তি। আর তিন ঘণ্টা লাইন দিয়েও পারলেন না যারা তাদের মনে শুধুই হাহাকার।

আরও পড়ুন : মামলার সাক্ষী শালিক পাখি 

প্রথম শো যদি কেউ দেখতে নাও পারেন তবে নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকেও দেখা যাবে সিনেমাটি। তবে তা দেখার জন্যও করতে হবে নিরন্তর প্রতীক্ষা। এতে চঞ্চল ছাড়াও রয়েছেন নাজিফা তুষি, শরিফুল রাজ-সহ অনেকেই। এর আগে গতকাল রাতে সিনেমা প্রদর্শনের সময়সূচি জানিয়ে চঞ্চল চৌধুরী একটি ফেসবুকে পোস্ট করেন। সেখানে জানানো হয় ছবিটি আজ বেলা ১টায় এবং সন্ধ্যা ৬টায় নন্দন-১ প্রদর্শিত হবে। এরপরের দুটি প্রদর্শন ৩১ অক্টোবর ও ২ নভেম্বর নন্দন-২–এ সন্ধ্যা ৬টায় দেখানো হবে।

আজ কলকাতায় ‘৪র্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’ শুরু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের ব্যবস্থাপনায় চলচ্চিত্র উৎসবটি চলবে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কলকাতার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাগৃহ নন্দন-১, ২ ও ৩ হলে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এ সময় এই হলগুলো দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

কেএইচটি