দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী, সমাজকর্মী ও পিএইচডি গবেষক রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। গত বছর করোনা মহামারি উপেক্ষা করেও দুই বাংলায় একেরপর এক নতুন সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন তিনি। এরমধ্যে রয়েছে অনন্য মামুনের ‘অমানুষ’, অরুণ চৌধুরীর ‘জলে জ্বলে তারা’, রাজর্ষি দের ‘মায়া’, রিঙ্গোর ‘আ রিভার ইন হ্যাভেন’, অরুণাভ খাসনবিশের ‘নীতিশাস্ত্র’ এবং শৌভিক কুণ্ডুর ‘আয় খুকু আয়’। এরমধ্যে চারটি সিনেমার শুটিং শেষ। চলতি বছরই সিনেমাগুলো মুক্তি পাওয়ার কথা।

২০২১ সালের ধারাবাহিকতা ২০২২ সালেও ধরে রাখতে চান এই অভিনেত্রী। ২০২২ নিয়ে নিজের কিছু প্রত্যাশার কথা ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন তিনি।  

মিথিলা বলেন, ‘এ বছর আমি প্রথমত, প্যান্ডেমিকের মধ্যে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে চাই। দ্বিতীয়ত, দুই বাংলায় অল্প কিছু ভালো কাজ করতে চাই।’

এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘এ বছরও আমি নানান সামাজিক সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকব। অলরেডি গার্হস্থ্য সহিংসতা নিয়ে প্রচারণায় যুক্ত আছি মেটা (ফেসবুক) ও বহ্নিশিখার সঙ্গে। এছাড়া ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবেও কাজ করব।’

নিজের পিএইচডির ফিল্ড ওয়ার্ক শুরু শুরু করবেন বলে জানান মিথিলা। এছাড়া চলতি বছর নিজের কর্ম প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের হয়ে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে শিশু বিকাশ এবং অধিকার নিয়ে আরও বড় পরিসরে কাজ করবেন এই অভিনেত্রী।

উল্লেখ্য, মিথিলা বর্তমানে কর্মরত আছেন ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের প্রধান হিসেবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পর তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করেন, সর্বোচ্চ সিজিপিএ পেয়ে অর্জন করেন গোল্ড মেডেল। বর্তমানে জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন এ তারকা।

আরআইজে