ঢাকাই সিনেমার একসময়ের নায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ব্রিজের কাছে বস্তাবন্দি অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় সিনেমা অঙ্গনে।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য ছিলেন শিমু। তবে গত দুই মেয়াদে সংগঠনটির নেতৃত্বে থাকা মিশা-জায়েদ যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে ১৮৪ জন শিল্পীর সদস্যপদ বাতিল করেছেন বলে শোনা যায়। সেই তালিকায় ছিল শিমুর নামও।

সদস্যপদ হারানো নিয়ে জায়েদ খানের সঙ্গে নাকি শিমুর বাকবিতণ্ডা হয়েছিল। এমনটা দাবি করে কয়েকজন শিল্পী। যার ফলে শিমুর হত্যাকাণ্ডে কেউ কেউ জায়েদ খানের নামটিও উচ্চারণ করেন। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন তিনি। জায়েদ জানান, গত দুই বছরেও শিমুর সঙ্গে তার দেখা কিংবা কথা হয়নি।

শিল্পী সমিতির দুইবারের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘একদল লোক আছে যারা সুন্দর একটি নির্বাচনকে কলঙ্কিত করতে চাচ্ছে। এরা সবখানে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে! একটা হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তার বিচার চাইবে কী, সেটা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আমাকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে। আমি চাই, প্রকৃত খুনিদের খুঁজে বের করা হোক।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই বলে বেড়াচ্ছে, শিমুর সঙ্গে নাকি আমার গত ১২ তারিখ ঝগড়া হয়েছে। অথচ বিশ্বাস করুন, বিগত দুই বছর আমার সঙ্গে তার কোনও কথাই হয়নি। এমনকি সামনাসামনি দেখাও হয়নি। কিন্তু মানুষ এসব মিথ্যে বলে আমাদের সুনাম নষ্ট করছে।’

এদিকে, শিমুর হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে তার স্বামী সাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তার এক বন্ধুকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) পুলিশ জানায়, নোবেল হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। দাম্পত্য কলহের জেরেই শিমুকে খুন করেছিলেন তিনি।

নায়িকা হত্যার ঘটনায় নাম জড়ানোর কারণে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছেন জায়েদ খান। হাতেগোনা কয়েকজন তার নামে মিথ্যে গুজব রটিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে হুঁশিয়ারি করেছেন এই নায়ক।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে পা রাখেন শিমু। এরপর ২০০৪ সাল পর্যন্ত নিয়মিত বড় পর্দায় কাজ করেছেন। প্রথম সারির পরিচালদের সিনেমায় জনপ্রিয় নায়কদের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন। গত কয়েকবছর যাবত তিনি ছোট পর্দার কাজে ব্যস্ত ছিলেন।

কেআই/আরআইজে