দেশে এখনও প্রায় ১৯ থেকে ২০ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী শনাক্তের বাইরে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে যক্ষ্মা শনাক্তের হার প্রায় ৮০ শতাংশ, বাকিরা শনাক্তের বাইরে। এমনকি সচেতনতা ও যথাসময়ে চিকিৎসা গ্রহণের অভাবে প্রতিদিন দেশে প্রায় ১০০ জন যক্ষ্মা রোগীর মৃত্যু হচ্ছে।

বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর হোটেল শেরাটনে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

যক্ষ্মার ওষুধ এখন বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রোগী শনাক্তকরণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা, রোগের চিকিৎসা এবং ওষুধসহ সবকিছু বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। তবে, সরকারের একার পক্ষে এই সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

সবাই এগিয়ে এলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই যক্ষ্মা নির্মূল সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, বিশ্বের প্রায় ২০০ কোটি মানুষের শরীরে টিবি বা যক্ষ্মা আছে। এই রোগে প্রতিবছর বিশ্বে ১৫ কোটি মানুষ মারা যায়। যেখানে দারিদ্রতা বেশি সেখানে যক্ষ্মা বা টিবির হারও বেশি। আমাদের দেশে যক্ষ্মা শনাক্তের হার প্রায় ৮০ শতাংশ। এখনও প্রায় ১৯/২০ শতাংশ রোগী শনাক্তের বাইরে।

জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বের ৭০ শতাংশ যক্ষ্মা রোগীর বসবাস মাত্র ৮ থেকে ১০টি দেশে। সেই তালিকার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আশার দিক হলো অতীতের চেয়ে যক্ষ্মা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ২০০২ সালে যেখানে বছরে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় মারা যেত। এখন সেটা কমে ৪০ হাজারে নেমেছে। কোনো মৃত্যুই কাম্য নয়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম, আইসিডিডিআর,বি-র নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ, ইউএসআইডির ইনফেকশাস ডিজিজ টিম লিড ডা. শামীমা চৌধুরী, জাতীয় টিবি প্রোগ্রামের লাইন ডাইরেক্টর ডা. মো. মাহফুজুর রহমান সরকার প্রমুখ।

টিআই/এমজে