করোনা রোগীর চাপ কমেছে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে। এই হাসপাতালে আইসিইউ বেডও খালি রয়েছে। পাশাপাশি ভর্তি হওয়া রোগীরা নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সেবা পাচ্ছেন। তবে ‍মৃত্যুর হার প্রায় আগের মতোই আছে।

সোমবার (৩ মে) কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটের দায়িত্বে থাকা সহকারী অধ্যাপক ও ক্রিটিক্যাল কেয়ারের বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানান।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্র জানায়, এখানে মোট ১৫৯টি সাধারণ বেড রয়েছে। এছাড়া আইসিইউ বেড রয়েছে ২৬টি। গত এপ্রিলের অর্ধেক সময় জুড়ে দুই বিভাগের কোনো বেড ফাঁকা ছিল না।

সূত্র জানায়, গত ১৩ এপ্রিল থেকে রোগীর চাপ কমতে শুরু করে। গত ১২ এপ্রিল রোগী ভর্তি ছিল ১৭৫ জন। ১৩ তারিখে তা কমে ১৫৮ জনে দাঁড়ায়। আর ১৫ তারিখে রোগী সংখ্যা ছিল ১৪৩ জন। এভাবে কমতে কমতে সোমবার (২ মে) ৬৯ জন করোনা রোগী ভর্তি ছিলেন। তাদের অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আবার করোর মৃত্যু হয়েছে কিংবা চিকিৎসার জন্য অন্য কোথাও চলে গেছেন। আর মৃত্যুর হার একেকদিন একেক রকম।

ডা. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গত দুই সপ্তাহ আগেও আইসিইউ বেডের জন্যে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়েছে। কিন্তু এখন ১১টির মতো আইসিইউ বেড খালি রয়েছে। সাধারণ বেডে চিকিৎসা নিয়েই রোগীরা সুস্থ হচ্ছেন।

রোগী মারা যাওয়ার হার কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মৃত্যুর হার খুব বেশি কমেনি। প্রায় আগের মতোই আছে। গড়ে তিন থেকে চারজন মারা যাচ্ছেন। সংখ্যাটা একেক দিন একেক রকম। 

তিনি আরও বলেন, এখন রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে পারছি। আগে আইসিউতে ভর্তি হওয়ার পরই মারা যাওয়ার যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল এখন ওই পরিস্থিতি নেই। এখনো বয়স্ক রোগীরাই বেশি মারা যাচ্ছেন।

তিনি জানান, করোনা রোগীর মূল চিকিৎসা হলো সঠিক সময়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে অক্সিজেন সেবা দেওয়া। এখন রোগীরা শতভাগ সেবা  পাচ্ছেন। অক্সিজেনের কোনো ঘাটতি নেই। ফলে রোগীরা সুস্থ হতে পারছেন।

একে/ওএফ