প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চীন থেকে চার থেকে পাঁচ কোটি ডোজ টিকা কেনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, চীন থেকে অন্তত চার/পাঁচ কোটি ডোজ টিকা কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। যা কিনতে পারলে ডিসেম্বরের আগে আসবে বলে আশা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর।

মঙ্গলবার (১১ মে) বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় নেপালকে করোনা সামগ্রী উপহার দেওয়ার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, চীন থেকে আগামীকাল টিকা আসবে। দ্বিতীয় ডোজ যাতে নিশ্চিত করা যায়, সেভাবে হাতে রেখেই এ টিকা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের খরচ আমাদেরই দিতে বলেছিল চীন, যেটা পৃথিবীতে বিরল। কিন্তু তখনই বাংলাদেশ জানিয়ে রেখেছিল পরবর্তী সময়ে তাদের থেকে টিকা কেনা হবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র নীতি, আমরাই ঠিক করবো, চীনা রাষ্ট্রদূত কি বললো সেটাকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না।

তিনি বলেন, আমরা চাই সব দেশই যেন ভ্যাক্সিন পায়। ধনী দেশ পাবে পিছিয়ে থাকা দেশ পাবে না, এটা আমরা চাই না। সব দেশই একসঙ্গে এ মহামারি কাটিয়ে উঠুক আমরা চাই।

জাহিদ মালেক বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনায় মৃত্যু বেড়েছে। জনগণের সচেতনতার সঙ্গে সরকারি দিক নিদের্শনা বাড়াতে হবে। কোনো রাষ্ট্র বা দেশ এ অতিমারি থেকে একা বের হয়ে আসতে পারবে না।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ছাড়াও নেপা‌লের ঢাকায়‌ নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বংশীধর মিশরা, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে সিনোফার্মের ৫ লাখ টিকা উপহার দিচ্ছে চীন। সেই চালানটি এখন ঢাকার পথে। সোমবার (১০ মে) ঢাকার চীনা দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।

ঢাকার চীনা দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশকে যে ৫ লাখ টিকা উপহার দেওয়া হবে, সে টিকার প্যাকিং শেষ হয়েছে। এই টিকা কোম্পানি থেকে একটি কাভার্ডভ্যানযোগে বেজিং এয়ারপোর্টে নেওয়া হয়েছে। এয়ারপোর্ট থেকে বিমানযোগে ঢাকায় আসবে। এ টিকা এমন ট্রাকে বহন করা হচ্ছে যাতে টিকাগুলো ঠান্ডা রাখা যায়।

টিআই/এসএম