রাজতন্ত্রকে আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে একাধিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি শুরু করেছেন যুবরাজ।

রাজতন্ত্রের বিচার ব্যবস্থার ‘অখণ্ডতা ও দক্ষতা’ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সোমবার নতুন একগুচ্ছ খসড়া আইনের ঘোষণা দিয়েছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ও দেশটির ‘ডি-ফ্যাক্টো’ নেতা মোহাম্মদ বিন সালমান। রয়টার্স এ খবর জানিয়ে লিখেছে, এটি এমন একটি পদক্ষেপ যা শেষ পর্যন্ত দেশটিতে পুরোপুরি লিখিত আইনের গোড়াপত্তন ঘটাবে।  

এমবিএস নামে পরিচিত সৌদি ক্রাউন প্রিন্স বিন সালমান রক্ষণশীল সৌদি রাজতন্ত্রকে আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে একাধিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি শুরু করেছেন। প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের বিদ্যমান শরিয়াহ বা ইসলামিক আইনগুলোকে অনুসরণ করার মতো কোনো লিখিত আইনি ব্যবস্থা এখনো নেই।

চলতি বছরজুড়ে এসব আইন কার্যকর করার কথা জানিয়েছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে উদ্ধৃত করে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সোমবার তিনি মোট চারটি নতুন খসড়া আইনের ঘোষণা দিয়েছেন। চলতি বছরজুড়ে এসব আইন কার্যকর করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। 

এসপিএ লিখেছে, পারিবারিক আইন, নাগরিক লেনদেন আইন, বিবেচনামূলক নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত দণ্ডবিধি এবং সাক্ষ্য আইন— নতুন এই চারটি আইন বর্তমানে চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। আইনগুলো অনুমোদনের আগে মন্ত্রিপরিষদ ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর পাশাপাশি ধর্মীয় নীতি নির্ধারণী পরিষদ ‘শুরা কাউন্সিলে’ পেশ করা হবে।

পারিবারিক আইন, নাগরিক লেনদেন আইন, বিবেচনামূলক নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত দণ্ডবিধি এবং সাক্ষ্য আইন— নতুন এই চার আইন বর্তমানে চূড়ান্ত করার কাজ চলছে।

ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নতুন এসব আইন সংস্কার বিচার ব্যবস্থায় নতুন একটি ধারার প্রতিনিধিত্ব করবে; যার মাধ্যমে বিচারের নীতিগুলো অর্জনের ভিত্তি হিসেবে মামলার রীতি ও তদারকি ব্যবস্থার নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি এতে করে জবাবদিহিতার ধারাগুলো আরও স্পষ্ট হবে।’     

সোমবার এক সৌদি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘সেরা আন্তর্জাতিক চর্চা ও মান প্রয়োগের মাধ্যমে চারটি প্রধান ও মৌলিক আইনের সুস্পষ্ট লিখিত রূপ তৈরির অর্থ হচ্ছে, ইসলামী শরিয়াহ নীতির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে আধুনিক বিশ্বের চাহিদা মেটাতে সৌদি আরব ‘অবশ্যই সমগ্র আইনের লিখিত রূপ তৈরির দিকে এগিয়ে চলেছে।’

রাজতন্ত্র পরিচালিত সৌদি আরবে নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনামূলক কোনো লিখিত আইন নেই।

তিনি আরও বলেন, ‘সৌদি আরবে যদিও একটি উপযুক্ত এবং স্বতন্ত্র বিচার বিভাগ রয়েছে, তারপরও এই ব্যবস্থা নিয়ে প্রধান সমালোচনা হলো এটি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং বিচারকদের মধ্যে অনেক বিষয় নিয়ে উল্লেখযোগ্য স্বাধীনতা রয়েছে; যাতে করে বিচারব্যবস্থায় অসঙ্গতি ও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।’

সৌদিতে নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনামূলক কোনো লিখিত আইন না থাকায় কয়েক দশক ধরে আদালতের রায়গুলোর মধ্যে ভিন্নতা ও মামলার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে অনেক সৌদি নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, যার বেশিরভাগই নারী

এএস