অবরোধের অংশ হিসেবে গত বছর এসব ইরানি তেল জব্দ করে যুক্তরাষ্ট্র/ ছবি: সংগৃহীত

ইরানের ১০ লাখ ব্যারেলেরও বেশি তেল বিক্রি করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অবরোধ কর্মসূচির আওতায় গতবছর ইরানের এসব তেল জব্দ করে দেশটি। অন্যদিকে মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অপরিশোধিত তেলভর্তি আরও একটি ইরানি জাহাজ যুক্তরাষ্ট্রের একটি বন্দরে আটক রয়েছে।

পরমাণু কর্মসূচির কারণে তেহরানের ওপর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। একইসঙ্গে ইরানিদের মধ্যে কিছু মানুষকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যাও দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই অবরোধের অংশ হিসেবেই গত বছর এসব ইরানি তেল জব্দ করে দেশটি।

পরমাণু কর্মসূচির কারণে তেহরানের ওপর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন/ ছবি: সংগৃহীত

এই প্রেক্ষাপটে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইরান থেকে ভেনেজুয়েলায় পাঠানোর সময় চারটি ট্যাংকারে প্রায় ১২ লাখ ব্যারেল তেল জব্দ করে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। পরিমাণের দিক থেকে এখন পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বেশি তেল আটকের ঘটনা। আটকের পর এসব তেল অন্য জাহাজে স্থানান্তর করে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এবার এসব তেল বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ ‘রাষ্ট্রীয় মদদে সন্ত্রাসের শিকারদের’ মধ্যে বিতরণ করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের মুখপাত্র মার্ক রাইমন্ডি চলতি সপ্তাহে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, আটক করা ইরানি তেল বিক্রি সম্পন্ন হয়েছে। তবে এ থেকে কি পরিমাণ অর্থ পাওয়া গেছে তা জানানো হয়নি। অবশ্য ইউরোপের জ্বালানি তেলের বাজার হিসেব করলেও ধারণা করা হচ্ছে জব্দকৃত ইরানি তেল বিক্রি করে লাখ লাখ ডলার পাবে ওয়াশিংটন।

ইরানের একটি তেল ট্যাংকার/ ছবি: সংগৃহীত

২০১৫ সালে ইরান ও বিশ্বের ছয় পরাশক্তির মধ্যে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তিকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’, ‘একপেশে’, ‘এর কোনো ভবিষ্যত নেই’ ইত্যাদি অভিযোগ তুলে চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে যান। যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার পর চুক্তির শর্তগুলো মেনে চলার ব্যাপারে ইরানও উদাসীন হয়ে পড়ে। এরপর তেহরানের ওপর আবারও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সেই নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসব তেল আটক করা হয়েছিল।

ইরান অবশ্য এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।

সূত্র: আলজাজিরা

টিএম