মাস্কের রাজত্বে বেজোসের হানা
ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের সিইও জেফ বেজোস ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক
বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং রকেট নির্মাণপ্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্কের রাজত্ব আবারও হোঁচট খেয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ ধনীর উপাধি পাওয়ার মাত্র ছয় সপ্তাহের মধ্যে তাকে টপকে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেফ বেজোস।
মঙ্গলবার টেসলার শেয়ারের দাম ২ দশমিক ৪ শতাংশ পতনের পর মাস্ক সাড়ে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার হারান। মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বিলিওনেয়ার সূচক বলছে, শেয়ারের দামের এই পতন মাস্ককে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকা থেকে দ্বিতীয় স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট।
বিজ্ঞাপন
স্টক মার্কেটে ধাক্কায় জেফ বেজোসের সম্পদও কিছুটা কমেছে; তবে তা খুব বেশি নয়। মাত্র ৩৭২ মিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন তিনি। বিশ্বে শীর্ষ ধনীর আসনে যাওয়ার জন্য সম্পদ হারানোর এই ধাক্কায় তেমন ক্ষতি হয়নি বেজোসের। কারণ তারচেয়ে বেশি সম্পদ খুইয়েছেন ইলন মাস্ক। ফলে তিন বছর ধরে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর যে তকমা তিনি ধরে রেখেছিলেন আবারও সেখানেই ফিরেছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা।
ব্লুমবার্গের বিলিওনেয়ার সূচক বলছে, মাস্কের বর্তমানে মোট সম্পদের মূল্য ১৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে, বেজোসের সম্পদের পরিমাণ ১৯১ বিলিয়ন ডলারের।
বিজ্ঞাপন
গত জানুয়ারির শুরুর দিকে টেসলার শেয়ারের দাম আকাশচুম্বী হলে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তকমা পান ইলন মাস্ক। টেসলার ১৭০ মিলিয়ন শেয়ারের মূল্য গত বছর ১০৬ বিলিয়নে ডলারে দাঁড়ায়। ওই বছর তার শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পায় প্রায় ৭৪৩ শতাংশ।
২০২০ সাল খারাপ যায়নি বেজোসেরও। কোম্পানিতে অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী এই কর্মকর্তার সম্পদ বৃদ্ধি পায় প্রায় ৭৫ বিলিয়ন ডলার। করোনাভাইরাস মহামারির সময় আরও বিক্রি বেড়ে যায়। যদিও চলতি মাসের শুরুর দিকে কোম্পানির প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
তবে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনীর জায়গা ধরে রেখেছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তার সম্পদের পরিমাণ ১৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এসএস