তেহরানের সঙ্গে ছয় জাতির পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিকে ফোন করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। ইরান পরমাণু চুক্তি না মানায় জার্মানির পক্ষ থেকে উদ্বেগের কথা রুহানিকে জানিয়েছেন তিনি।

অভিযোগ আছে, ইরান ২০১৫ সালের ওই পরমাণু চুক্তি আর মানছে না। প্রতিশ্রুতি ভেঙ্গে ইউরেনিয়াম মজুত করছে। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মতে, ইরানের লক্ষ্য পারমাণবিক বোমা বানানো। এই পরিপ্রেক্ষিতে রুহানির সঙ্গে মেরকেলের ফোনালাপ তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মেরকেল রুহানিকে জানিয়েছেন যে, ইরান চুক্তি না মানায় তিনি উদ্বিগ্ন। চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী বাকি দেশগুলোও চাইছে, ইরান এই চুক্তি মেনে চলুক।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী মেরকেল রুহানিকে জানিয়েছেন যে, ইরান চুক্তি না মানায় তিনি উদ্বিগ্ন। চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী বাকি দেশগুলোও চাইছে, ইরান এই চুক্তি মেনে চলুক। বিশেষ করে জার্মনি চায়, পরমাণু নিয়ে এই চুক্তি বহাল থাকুক।

চুক্তি অনুযায়ী পারমাণবিক বোমা বানানো যায় এমন পরিমাণে ইউরেনিয়ামের মজুত না করার ব্যাপারে ইরান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এছাড়া তাদের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো নিয়মিত দেখার অনুমতি রয়েছে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিরা। এর বিপরীতে ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাগুলো ক্রমশ শিথিল করা হবে।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবশ্য বলেছেন, তিনি এই চুক্তিতে আবার যোগ দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে তার আগে ইরানকে পরমাণু বিষয়ক কিছু সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।

তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনের স্বাক্ষরিত চুক্তিটি ভালোই চলছিল। কিন্তু বিপত্তি বাধে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে। ক্ষমতায় আসার পরই তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে চুক্তিটি থেকে প্রত্যাহার করে নেন। অবশ্য নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবেন।

অপরদিকে ফোনালাপে ইরানের প্রেসিডেন্ট মেরকেলকে বলেছেন, এখন ইতিবাচক বার্তা দেওয়াটাই জরুরি। তাহলেই উভয় পক্ষের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক গড়ে উঠবে। তিনি অন্তত তাই চান, ইরান পরমাণু চুক্তিটি মেনে চলুক। চুক্তির বাইরে গিয়ে তারা যেন কোনো পদক্ষেপ না নেয়।

রুহানি-মেরেকেল আলোচনার পর এবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপের আলোচনা হবে। তাতে খতিয়ে দেখা হবে কীভাবে এই চুক্তি বহাল ও কার্যকর রাখা যায়। প্যারিসে জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠক করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন।

 ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, ‌‘ভালো ভালো কথা তো অনেক শুনেছি, এবার আমরা পদক্ষেপ দেখতে চাই।’

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবশ্য বলেছেন, তিনি এই চুক্তিতে আবার যোগ দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে তার আগে ইরানকে পরমাণু বিষয়ক কিছু সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, ‌‘ভালো ভালো কথা তো অনেক শুনেছি, এবার আমরা পদক্ষেপ দেখতে চাই।’

প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী পরমাণু বিষয়টির নজরদারি প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটোমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) মহাপরিচালকের শিগগিরই ইরান সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। তিনিও এই সংকটের সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টা করবেন।

এএস